ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪

বালুখালিতে আশ্রয় পাচ্ছে নতুন আসা রোহিঙ্গারা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৫, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২৩:০৮, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে সীমান্ত অঞ্চল থেকে বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের থাকার সুযোগ করে দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। জীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা নতুন রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালিতে বন বিভাগের ৫০ একর জমিতে থাকার ব্যবস্থা করছে জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খালেদ মাহমুদ।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, গত বছর অক্টোবরে রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হলে উখিয়ার বালুখালিতে বন বিভাগের ওই জমি মাস ছয়েক আগে বরাদ্দ দেয়া হয়। গত বছর আসা কয়েক হাজার রোহিঙ্গা সেখানে আছে। নতুন করে যারা আসছে, তাদেরও সেখানে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

খালেদ মাহমুদ বলেন, নতুন আসা রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে না থেকে ওই ক্যাম্পের আশেপাশে থাকতে বলা হয়েছে। সেখানে থাকলে কাউকে বাধা দেওয়া হবে না। অন্য কোথায়ও থাকলে তাদের উচ্ছেদ করা হবে।

গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের রাখাইনে পুলিশ স্টেশন ও সেনাক্যাম্পে হামলার পর ব্যাপক আকারে সেনা অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সরকার। তখন থেকেই জীবন বাঁচাতে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে বাংলাদেশ সীমান্তে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের হিসেবে গত ১২ দিনে ৯০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। তবে স্থানীয়দের মতে, গত ১০ দিনে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় ৯০ হাজার রোহিঙ্গা।

গত কয়েক দিন ধরে উখিয়ার কুতুপালং থেকে শুরু করে থাইংখালী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পাহাড়ে পাহাড়ে বাঁশ আর পলিথিনের অসংখ্য ঝুপড়ি গড়ে তুলেছে তারা। রোহিঙ্গাদের নতুন বসতি দেখা গেছে টেকনাফ সীমান্তবর্তী হোয়াইক্যং ইউনিয়নসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকাতেও।

অনেক রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় কেটে নতুন নতুন বস্তি গড়ে তুলছে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় ইতোমধ্যেই তারা উখিয়া, টেকনাফ ও নাইক্ষ্যংছড়িতে নতুন করে ৭টি বস্তি গড়ে তুলেছে। এসব এলাকায় এখন দিনরাত চলছে পাহাড়, বনজঙ্গল কেটে বাঁশ ও পলিথিনের ছাউনি দিয়ে ঘর তোলার কাজ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেছেন নতুন আসা রোহিঙ্গারা ইতোমধ্যে বনবিভাগের সাড়ে চারশ একর ভূমি দখল করে ফেলেছে। এর আগে গত বছর রোহিঙ্গারা দখল করেছিল ৬০০ একরের বেশি খাস জমি।

এতে করে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।

মিয়ানমারে জাতিগত নিপীড়নের মুখে পালিয়ে আসা পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গার ভার বাংলাদেশ বহন করে চলেছে গত কয়েক দশক ধরে। বাংলাদেশ সরকার তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এলেও মিয়ানমার তাতে সাড়া দেয়নি।

ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি