ঢাকা, সোমবার   ১৪ জুলাই ২০২৫

স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ রোল মডেল : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৭, ১৫ অক্টোবর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিম বলেছেন, স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ আজকে রোল মডেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। দাতা সংস্থাগুলোর দ্বিমত সত্ত্বেও সরকার চক্ষু চিকিৎসা কার্যক্রমকে গুরুত্ব দিয়ে ন্যাশনাল আই কেয়ার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্ব দৃষ্টি দিবস ২০১৭ উপলক্ষে আজ রোববার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃয় তিনি এসব কথা বলেন।

ন্যাশনাল আই কেয়ারের লাইন ডাইরেক্টর এবং জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক এমপি, স্বাস্থ্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মো. নূরুল হক এবং ইনগো ফোরামের চেয়ার ও সাইট সেভার্স এর কান্ট্রি ডাইরেক্টর মো. আরিফুল ইসলাম।

মো. নাসিম বলেন, সবার আগে দরকার বিএনপির চোখের চিকিৎসা। তারা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম চোখে দেখে না। বিএনপি আজকে সংবিধানের বাহিরে যেয়ে নির্বাচন করতে চায়। আমরা তাদের এ অন্যায় অবদারের কাছে মাথা নত করবো না।

স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে শেখ হাসিনা সরকারের কমিটমেন্ট রয়েছে। সরকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনষ্টিটিউটের পাশাপাশি দক্ষিণ বাংলার মানুষের জন্য গোপালগঞ্জের শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও ট্রেনিং ইনষ্টিটিউটও প্রতিষ্ঠা করেছেন। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালটিকে সরকারী ব্যবস্থাপনায় এনে নতুনভাবে চালু করা হয়েছে। রাজধানীর মুগদায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট আর একটি আধুনিক হাসপাতাল চালু করেছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে রয়েছে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খাদ্য স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের বুকে মাদার অফ হিউম্যানিটি উপাধি পেয়েছেন।

ইনগো ফোরামের চেয়ার ও সাইট সেভার্স এর কান্ট্রি ডাইরেক্টর মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, বেসরকারী সংস্থাগুলো চক্ষু চিকিৎসায় বাংলাদেশ সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক  ডা. গোলাম মোস্তফা।

প্রবন্ধে তিনি বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে প্রতিরোধযোগ্য অন্ধত্ব নির্মূলের প্রত্যয় নিয়ে কাজ করছে ন্যাশনাল আই কেয়ার। ন্যাশনাল আই কেয়ারের অধীনে কাজ করছে ইনগো ফোরাম (সাইটসেভার্স, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, দি ফ্রেড হলোস ফাউন্ডেশন, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, সিবিএম, ব্য্রাক, হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশন, আন্দেরী হিলফি) ও দেশি-বিদেশি চক্ষু চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলো। 

বর্তমানে বাংলাদেশে ৭,৫০,০০০ জন মানুষ অন্ধত্বের শিকার। এদের শতকরা ৮০ ভাগই ছানি জনিত অন্ধত্ব। অন্ধত্বের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলো হলো- নানাবিধ দৃষ্টি-ত্রুটি (Refractive error)) , গ্লুকোমা, আঘাত জনিত চক্ষুরোগ, ডায়বেটিক রেটিনোপ্যাথি ও শিশু অন্ধত্ব।

ন্যাশনাল আই কেয়ারের বর্তমান অপারেশনাল প্ল্যানের কাজ জানুয়ারি ২০১৭ থেকে শুরু হয়েছে এবং জুন ২০২২ পর্যন্ত চলবে।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি