ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৫ জুলাই ২০২৫

ইসির সঙ্গে সংলাপে আ.লীগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৫, ১৮ অক্টোবর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে আজ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বেলা ১১ টায় এ সংলাপ শুরু হয়। এতে অংশ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের ২১ জন সিনিয়র নেতা।


এর আগে সংলাপে অংশ নিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিরহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে যান। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা নির্বাচন কমিশনে পৌঁছেন। বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান এবং ইলেকট্রনিক ভোটিং পদ্ধতি চালুসহ বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে তুলে ধরবে আওয়ামী লীগ।


এ ছাড়া আওয়ামী লীগের প্রস্তাবনায় সেনা মোতায়েন না করা, আরপিওতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন না আনা, একান্ত জরুরি না হলে সীমানা পুনর্বিন্যাস না করা, প্রবাসীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তিসহ তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা, ভোটার তালিকার ভুলগুলো দূর করার বিষয় বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।


তবে সেনাবাহিনী নিয়ে দলটির বক্তব্য থাকবে, নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন সম্পূর্ণ ইসির এখতিয়ার। ইসি প্রয়োজন মনে করলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনা মোতায়েন করতে পারে। তবে আরপিওতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষাবাহিনীকে সংযুক্ত করার প্রয়োজন নেই।


ওবায়দুল কাদের ছাড়াও সংলাপে অংশ নিচ্ছেন দলের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য-আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য-মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম,  আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, উপদেষ্টা মশিউর রহমান, মোহাম্মদ জমির, মো. রশিদুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, দলের নেতা এইচ এন আশিকুর রহমান, হাছান মাহমুদ, আব্দুস সোবহান গোলাপ ও রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ। প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিদেশ থাকায় বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি।


এর আগে গত রোববার বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি। বিএনপি ইসির কাছে যে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে এর মধ্যে বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ সহায়ক সরকারের প্রস্তাবও রয়েছে। এ ছাড়া ভোটের সময় ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে সেনা মোতায়েন, ২০০৮ সালের আগের সংসদীয় আসন সীমানা ফিরিয়ে আনা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) চালু না করার প্রস্তাবও দিয়েছে বিএনপি।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ৩১ জুলাই নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ১৬ ও ১৭ আগস্ট গণমাধ্যমের প্রতিনিধি সঙ্গে সংলাপে বসে ইসি। এরপর ২৪ আগস্ট থেকে কমিশনে নিবন্ধিত ৪০টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এ পর্যন্ত ৩৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিকদলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপের অংশ হিসেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

//এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি