বই উৎসবের উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ শনিবার সকালে গণভবনে জাতীয় বই উৎসবের উদ্বোধন করেছেন। এসময় তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে বই  তুলে  দেন। এ নিয়ে টানা নবমবারের মত শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিচ্ছে সরকার। আগামী ১ জানুয়ারি সারাদেশে ‘জাতীয় পাঠ্যপুস্তক উৎসব’ উদযাপন করা হবে।

বছরের প্রথম দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসবের মধ্য দিয়ে ৪ কোটি ৪২ লাখ ৪ হাজার ১৯৭ জন শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে বই দেওয়া হবে।

সরকারি সূত্র জানায়, এ বছর সারাদেশে মোট ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি পাঠ্যবই বিতরণ করা হবে। এতে দুই মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ঢাকায় হবে দুটি কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ’ সরকারের ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া কমেছে এবং বিদ্যালয়গুলোতে উল্লেখযোগ্য হারে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমান সরকার ২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ শুরু করেছে।

গত বছরের চেয়ে এবার শিক্ষার্থী বেড়েছে ১০ লাখ ৭০ হাজার ৯৬৬ জন। এজন্য ৭১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬৯টি বই বেশি ছাপা হয়েছে। গত আট বছরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে ২২৫ কোটি ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৭৫০টি বই ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে সরকার।

বই উৎসব

এদিকে বই উৎসব উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবারও আলাদা আলাদা স্থানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। ১ জানুয়ারি সকালে আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।

অপরদিকে একইদিন সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আসিফ-উজ-জামান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

আর