ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৭ মে ২০২৪

ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য “ই-গভর্ণমেন্ট মাস্টার প্ল্যান”

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৭, ২৫ অক্টোবর ২০১৮

কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সী (কোইকা) এর সহযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “ই-গভর্ণমেন্ট মাস্টার প্ল্যান” এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। “ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ই-গভর্ণমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন” প্রকল্পের আওতায় চূড়ান্তকৃত এই খসড়া বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিএস) পক্ষ থেকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।   

আজ বৃহস্পতিবার কাউন্সিল মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিটি বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিভাগের পক্ষ এই খসড়া গ্রহণ করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এসময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে কাইকো’র কান্ট্রি ডিরেক্টর জো হেন-জু। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জুয়েনা আজিজ।  এ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব এবং উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মনির হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক মো. মনির হোসেন। তিনি তাঁর বক্তৃতায় ই-গভর্ণমেন্ট মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন প্রকল্পের ইতিহাস, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়সমূহ তুলে ধরেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদে পলক বলেন, “২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হতে, বাংলাদেশকে একটি জ্ঞানভিত্তিক ও প্রযুক্তিসম্পন্ন দেশ হিসেবে রূপান্তর করার এই যাত্রার সঙ্গে যারা ছিলেন তাদের প্রত্যেককেই আমি আন্তরিক অভিবাদন জানাই। উন্নয়নের পথে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে বিগত দশ বছর ধরে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আজ আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি আপনারা একমত হবেন যে, এক সময় ডিজিটাল বাংলাদেশে আমাদের স্বপ্ন ছিল আজ সেটা বাস্তব। আমাদের ভিশনারি লিডার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ যে তিনি এই মহৎ এবং উদ্ভাবনী ভিশন ২০২১ নিয়ে এসেছেন। একই সাথে প্রধানমন্ত্রীর মাননীয় তথ্যপ্রযুক্তি বিষায়ক  মাননীয় উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয়কেও আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি আমাদেরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সার্বক্ষণিক দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন”।

তিনি আরো বলেন, “আমি জেনেছি যে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন বেশ কয়েকটি পর্যায়ের সাথে জড়িত। প্রথম পর্যায়ে ১২০ টি মন্ত্রণালয় বিভাগ এবং সংগঠনের সাথে পরামর্শ ও জরিপ করা হয়। সংশ্লিষ্ট সকলকে সঙ্গে নিয়ে কিছু কর্মশালা/সেমিনার/সিম্পোজিয়াম করা হয়। বেশ কিছু জরিপ এবং বিশ্লেষণর ফলাফল এখানে সংযোজন করা হয়েছে। এই মাস্টার প্ল্যানের মূল লক্ষ্যগুলি নাগরিকের চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি অগ্রগণ্য এবং জনগণকে সেবা প্রদানের জন্যও সর্বোত্তম। আমাদের সরকারের লক্ষ্য সরকারী সেবাগুলি ডিজিটালাইজ করা, সর্বোপরি নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা যেন নাগরিকদের জীবন সহজতর, দক্ষ ও কার্যকরী হয়”।

সভাপতির বক্তব্যে জুয়েনা আজিজ বলেন, “সবার আগে আমি মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মহোদয়কে তাঁর সদয় উপস্থিতির জন্য অভিবাদন ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই এবং বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিতে চাই কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও তাঁর দলকে তাঁদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে `ডিজিটাল বাংলাদেশ ই-গভর্নমেন্ট মাস্টার প্ল্যান` প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য। আজকের উপস্থাপনা থেকে আমি লক্ষ্য করেছি যে, জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সার্ভে রিপোর্ট ২০১৮ র‍্যাংকিং বাংলাদেশ ১৯৩ টি দেশের মধ্যে ১১৫ তম স্থান অর্জন করেছে। যা এশিয়ার দেশ গুলোর মধ্য তৃতীয়, আমাদের লক্ষ্য ২০২১ সালের মধ্যে র‍্যাংকিং ১০০ এর নিচে আনা”। 

তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে আমাদের ই-গভর্নমেন্ট সম্পর্কিত কার্যক্রমের জন্য কোনও আইন নেই। ই-গভর্নমেন্ট সংক্রান্ত প্রকল্পটি কার্যকর করার জন্য আমাদের এ ধরনের আইন দরকার। আমি শুনেছি যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ একটি ই-গভর্নমেন্ট সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন করছে যেখানে কোরিয়ানদের ই-গভর্নমেন্ট বাস্তবায়ন অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ  হিসাবে বিবেচিত হতে পারে”।

//এস এইচ এস//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি