টেলি সামাদের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
প্রকাশিত : ২০:৩৮, ৬ এপ্রিল ২০১৯

রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বিশিষ্ট চলচ্চিত্র অভিনেতা ও কমেডিয়ান টেলি সামাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন। আজ এক শোক বার্তায় রাষ্ট্রপতি টেলি সামাদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশের জনগণ চলচ্চিত্র ও নাটকে তার অবদান দীর্ঘদিন স্মরণ করবে।
রাষ্ট্রপতি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
টেলি সামাদ আজ দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি দুই পুত্র, দুই কন্যা এবং অগনিত আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্খি রেখে গেছেন। তিনি গত কয়েক বছর ধরে বাধর্ক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে তার বাইপাস সার্জারি করা হয়।
চলচ্চিত্র জীবন :
১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ চলচ্চিত্রে কৌতুকাভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। ‘নয়নমণি’ ও ‘পায়ে চলার পথ’-এর মত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন। ‘মনা পাগলা’ চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি ৫০টির মত চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দেন। অভিনয়জীবনে চার দশকে ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান মোস্তফা মামুন তার ডাক নাম দিয়েছিলেন টেলিসামাদ। তারপর থেকে তিনি এ নামেই পরিচিত হন। ২০১৫ সালে তার অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ‘জিরো ডিগ্রী’ মুক্তি পায়।
চলচ্চিত্র তালিকা :
জিরো ডিগ্রী (২০১৫), কুমারী মা (২০১৩), সাথী হারা নাগিন (২০১১), মায়ের চোখ (২০১০), আমার স্বপ্ন আমার সংসার (২০১০), রিকসাওয়ালার ছেলে (২০১০), মন বসে না পড়ার টেবিলে (২০০৯), কাজের মানুষ (২০০৯), মায়ের হাতে বেহেস্তের চাবি (২০০৯), কে আমি (২০০৯) - হাশেম, কেয়ামত থেকে কেয়ামত (১৯৯৩), মিস লোলিতা (১৯৮৫), নতুন বউ (১৯৮৩), মাটির ঘর (১৯৭৯), নাগরদোলা (১৯৭৯), গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮), অশিক্ষিত (১৯৭৮), জয় পরাজয় (১৯৭৬), গুন্ডা (১৯৭৬), সুজন সখী (১৯৭৫), চাষীর মেয়ে (১৯৭৫), রঙিন রূপবান, ভাত দে।
এসএইচ/
আরও পড়ুন