ঈদ কেনাকাটায় ভারতীয় শাড়িতে ঝুঁকছেন নারীরা
প্রকাশিত : ২১:৫৭, ২৯ মে ২০১৯

যেকোন উৎসবেই বাঙালি নারীর পছন্দ শাড়ি। নারীর সেই পছন্দকে সামনে রেখে ঈদের আগে ফ্যাশন হাউজগুলোতে সাজানো হয়েছে বাহারী রঙ আর নকশার শাড়ি। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ ঘুরে দেখা গেছে জমকালো থেকে হালকা নকশার শাড়িতে এবার ঝুঁকেছেন নারীরা। তবে পছন্দের শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় শাড়ি। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো, কাঞ্জিভরম, গাদোয়াল, চেন্নাই কাতান ও লিনেন ফ্লোরাল।
নারীরা ঈদের দিন পড়ার জন্য শাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই আভিজাত্য আর নতুনত্ব খুঁজেন। তাই চাহিদা অনুযায়ী দোকানদাররাও পছন্দের শাড়ি দিয়ে সাজিয়েছেন দোকান। ভারতীয় শাড়ি কাঞ্জিভরমে ঠাসা বুনটের কাজ, বিভিন্ন রং আর নকশার শাড়িগুলোর দাম বারো হাজার থেকে শুরু করে দেড় লাখ টাকা। উজ্জ্বল রঙের গাদোয়াল শাড়িতে কলকি, ফুল আর বরফি নকশার জমকালো কাজ রয়েছে। আর এসব বিক্রি হচ্ছে সাত থেকে ত্রিশ হাজার টাকার মধ্যে।
অন্যদিকে জয়পুরী, ব্যাঙ্গালুরু কাতান, লিনেন ফ্লোরাল শাড়িতে স্টোনের হালকা ও ভারী কাজের শাড়িগুলোও খুঁজছেন ক্রেতারা। চেন্নাই কাতান এবং লুথিয়ানা শাড়িও আছে পছন্দের শীর্ষে। প্রিয়জনদের জন্য বিভিন্ন দোকান ঘুরে সাধ্যের মধ্যে শাড়ি কিনছেন ক্রেতারা।
তবে বিক্রেতারা বলছেন, দেশি শাড়িও ভালো বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে জামদানি, টাঙ্গাইল এবং তাঁতের শাড়ির উল্লেখযোগ্য। এবার দেশী শাড়ির মধ্যে মসলিন এমব্রয়ডারিতে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। মসলিন এমব্রয়ডারি শাড়িজুড়ে ফুল-লতা পাতার নিখুঁত বুনন। মসলিন কোটা এমব্রয়ডারি শাড়ির পাড়জুড়ে মিনার কাজ। আর কাতান শাড়ির নকশায়ও এসেছে ভিন্নতা।
জামদানির বুননে আছে বাঙালি ঐতিহ্য। সবসময়েই নারীর পছন্দের তালিকায় থাকে জামদানী। দোকানিরা জানালেন, এবার এসব বিক্রিও ভালো হচ্ছে। এছাড়া টাঙ্গাইল ও তাঁতের শাড়িতে রং ও নকশায় এবার যোগ হয়েছে নানান বৈচিত্র্য। এবারের ঈদে গরম ও বর্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে হালকা এবং ভারী সবধরণের শাড়িতেই ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে প্রস্তুত বিক্রেতারা।
আরকে//
আরও পড়ুন