ঢাকা, সোমবার   ২০ মে ২০২৪

সম্রাটকে নিয়ে নানা গুঞ্জন!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪৯, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯

রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাবে চলা ক্যাসিনো ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হওয়ার পর সব থেকে বেশি আলোচিত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট এর নাম। রাজধানীর ক্যাসিনো ব্যবসার সম্রাটও বলা হচ্ছে তাকে!

এদিকে, অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে যুবলীগ নেতা খালেদ ও জিকে শামীমসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন। অভিযানের শুরুর কয়েক দিন সম্রাটকে জনসম্মুখে দেখা গেলেও এখন লাপাত্তা রয়েছেন। এরপর থেকে তাকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গুঞ্জন ও গুজব। তবে সম্রাটকে নিয়ে এই গুঞ্জন ও গুজব গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তীব্রতা পেয়েছে। গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে আজ শনিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর দেওয়া ‘ অপেক্ষা করুন, যা ঘটে দেখবেন’।

ক্যাসিনো খালেদ' গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অবস্থান ছিল কাকরাইলে তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ে। তবে সোমবার থেকে তার অবস্থান নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন সোমবার তিনি বিদেশে পালিয়ে গেছেন; কেউ বলছেন, না, তিনি কোথাও যাননি, দেশেই আছেন এবং কাকরাইলের কার্যালয়েই আছেন। তার অবস্থান নিয়ে এমন নানামুখী গুঞ্জন রয়েছে। গতকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সম্রাটের ব্যবহূত তিনটি মোবাইল ফোন নম্বর।

র‍্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইয়াংমেনস ক্লাবে অভিযানের পর ক্লাবটির মালিক যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র‍্যাব। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাটের ডান হাত হিসেবে পরিচিত।

গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়েছে, সম্রাটকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো একটি ইউনিট। তাকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার দেখানো হতে পারে বলেও গুঞ্জন পাওয়া যাচ্ছে।

আবার বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে এমন খবরও ছড়ানো হচ্ছে, যুবলীগ নেতা সম্রাটকে কোনো একটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন আটক করেছে। তাকে ক্যাসিনো ব্যবসার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে গ্রেফতার বা আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি। ফলে বিভিন্ন মহল বিষয়টিকে গুঞ্জন বা গুজব হিসেবেও দেখছেন।

এদিকে, গত সপ্তাহে রাজধানীর মতিঝিলে চারটি ক্লাবের ক্যাসিনোতে অভিযান পরিচালনা করেছিল পুলিশ। এই চারটি ক্যাসিনোর পেছনে সম্রাটের হাত রয়েছে বলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধারণা।

সূত্রে জানা গেছে, অভিযানের শুরুর কয়েকদিন গতিবিধি পর্যালোচনা করেন যুবলীগ সভাপতি সম্রাট। যখন বুঝতে পারেন অভিযানের এক পর্যায়ে তিনি ফেঁসে যেতে পারেন, তখন গ্রেফতার এড়াতে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখের আড়ালে দেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে যান।

যদিও সম্রাট দেশ ত্যাগ করতে পারেন এমন আশঙ্কা আগে থেকেই আঁচ করেতে পেরেছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাই সম্রাটের দেশত্যাগের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এ সংক্রান্ত একটি আদেশ দেশের বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্রাট এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আছেন।

অন্যদিকে, সম্রাটের গ্রেফতারের বিষয়ে সর্বশেষ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যেই অপরাধ করুক তাকেই আইনের মুখোমুখি হতে হবে। ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে আমরা তথ্য ভিত্তিক অভিযান চালাচ্ছি। তবে সম্রাট গ্রেফতার কিনা তা আপনারা দ্রুত জানতে পারবেন।’

আরকে//


Ekushey Television Ltd.





© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি