দেশে কিডনি রোগে ভুগছেন দুই কোটি মানুষ
প্রকাশিত : ১২:৫১, ১২ মার্চ ২০২০

দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ এখন কিডনি রোগে ভুগছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বায়ু, পানি, খাদ্য দূষণসহ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং অসচেতনতা কিডনি রোগের বিস্তার ঘটাচ্ছে। প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন কিডনি সংশ্লিষ্ট রোগে। রোগ প্রতিরোধে দ্রুত শনাক্ত ও সচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
তোফাজ্জল মিয়া, কিডনি রোগে আক্রান্ত; ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন দুই বছর। দুবাইয়ে ছিলেন দশবছর, যা কিছু সঞ্চয় সবটাই চলে যাচ্ছে চিকিৎসায়।
কিডনি রোগে আক্রান্ত মুনমুন আড়াই বছরের ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালের বিছানায়। চিকিৎসার ব্যয়, সংসার আর নিজের শেষ না হওয়া লেখাপড়া নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে মুনমুন। জানেন না কি করবেন। তোফাজ্জল, মুনমুনের শতো অসংখ্য রোগী প্রতিদিন ভিড় করছেন হাসপাতালগুলোতে।
কিডনি রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো দিশেহারা। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বে ৮৫০ মিলিয়ন মানুষ বিভিন্ন ধরণের কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রতিবছর ২ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষ দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগ এবং এক দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ আকস্মিক কিডনি রোগে মারা যান।
বিভিন্ন সংস্থার জরিপ অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় দুই কোটি মানুষ কোনও না কোনও কিডনি রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে প্রতিবছর প্রায় ৪০ হাজার রোগী দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডায়ালাইসিস ও কিডনি সংযোজন ছাড়া বেঁচে থাকা অসম্ভব। দুটি পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। কিডনি রোগ প্রতিরোধে প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
২০১৮ সালে মানবদেহে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন সংশোধন হওয়ায় কিডনিদাতার সংখ্যা বেড়েছে। কিডনি রোগে স্টেম সেল থেরাপি বিশ্বের কোনও দেশেই স্বীকৃত নয়। স্টেম সেল থেরাপি না নেয়ার আহ্বানও তাদের।
একে//
আরও পড়ুন