ঢাকা, রবিবার   ১২ মে ২০২৪

২০২১ সালেই টিকা পাবে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৭, ২ জানুয়ারি ২০২১

২০২১ সালে মানব সভ্যতার জন্যে সুখবর হলো করোনা ভাইরাস বিরোধী টিকার আবিষ্কার এবং মানবদেহে এই টিকার ব্যবহার। বাংলাদেশ সংগ্রহ করছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। তবে অন্য উৎস থেকেও সংগ্রহের চেষ্টা আছে। ২০২১ সালেই টিকা পাবে দেশের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ। সংখ্যার হিসেবে যা, ৬ কোটি ৯১ লাখ। এর মধ্যে ৯ শতাংশ পাবে অক্সফোর্ডের টিকা। বাকী ৩১ শতাংশের জন্য টিকা আসবে বৈশ্বয়িক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে। টিকা কার্যক্রমের জন্যে প্রাথমিক তহবিল রয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।

২০২০ সালে করোনা সংক্রমণ শুরু। এক বছরের মধ্যেই ভ্যাকসিনের আবিষ্কার এবং মানব দেহে এর ব্যবহার সভ্যতার জন্যে বড় আশির্বাদ। এত দ্রুত সময়ে আর কখনোই প্রাণ সংহারি কোনো রোগের টিকা আবিষ্কৃত হয়নি।

করোনা ভ্যাকসিনের ২শ’ গবেষণার মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে গেছে ৮৫টি। রাশিয়ার স্পুটনিক-৫,  চীনের সিনোভ্যাক প্রয়োগ শুরু হয়েছে। ফাইজার-বায়োনটেক, মর্ডানার টিকাও ব্যবহৃত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সরকার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার স্থানীয় প্রস্তুতকারক ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালস থেকে। প্রতিমাসে সরবরাহ আসবে ৫০ লাখ করে। চুক্তি হয়েছে তিন কোটি ডোজ টিকার জন্যে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সেরাম ইনস্টিটিউট বিশ্বের সর্ব বৃহৎ টিকা উৎপাদনকারী সংস্থা। ওরা এখন ৩ কোটির বেশি অর্ডার আমাদের কাছে থেকে নিতে রাজি নয়। ম্যাক্সিমাম অর্ডারটাই আমরা দিয়েছি। ক্রমশ অ্যাস্ট্রাজেনেকারটাই নেওয়ার চেষ্টা করবো। 

রাশিয়ার স্পুটনিক-৫, চীনের সিনোভ্যাকের সাথেও আলোচনা চলছে। কথা হয়েছে, ফ্রান্সের সেনফির সাথে। মাইনাস সেভেনটি ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণের সক্ষমতা নেই বলে আপাততঃ ফাইজার, মর্ডনার ভ্যাকসিন কেনার পরিকল্পনায় নেই সরকারের। 

জাহিদ মালেক আরও বলেন, ফাইজার, মর্ডনার ভ্যাকসিন মাইনাস সেভেনটি ডিগ্রিতে রাখতে হবে। সেই সক্ষমতা আমাদের নাই। আমাদের জন্য সবচেয়ে যেটা ভালো, সেটা হলো অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন। দামের দিক দিয়েও সবচেয়ে সস্তায় আছে, আমাদের একদম কাছে তাই আসতে সহজ হবে, আমাদের সক্ষমতার সঙ্গেও ম্যাক্স করে এই ভ্যাকসিনটা। এটি ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সিলসিয়াসে রাখা যায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তত্ত্বাবধানে, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস এন্ড ইমুনাইজেশন (গ্যাভি); কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপিয়ার্ডনেস ইনোভেশনস (সিইপিআই) এর বৈশ্বয়িক উদ্যোগ কোভ্যাক্স। বাংলাদেশ কোভ্যাক্সের টিকা পাবে, তা সংখ্যায় হবে ৬ কোটি ৮০ লাখ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন ডব্লিউএইচও আমাদের ২০ শতাংশ জনগণকে ভ্যাকসিন দিবে। সেটা হয়তো মে-জুনে আমরা পাব। যদি অ্যাস্ট্রাজেনেকা না দিতে পারে তখন আমরা বিকল্প চিন্তা করবো। এর মধ্যে অনেকগুলো আছে, সিনোভ্যাকের কাছ থেকেও কিনতে পারবো।

টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রস্তুত হচ্ছে লাখো কর্মী। সরাসরি যুক্ত থাকবে ৭২ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৬শ’ কোটি টাকা।
ভিডিও :


এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি