ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

পদ্মা সেতু ঘিরে পর্যটনের পরিকল্পনা সেতু বিভাগের (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৩০, ১১ জানুয়ারি ২০২১

পদ্মা সেতু ঘিরে বাড়ছে পর্যটন সম্ভাবনা। দেশের সবচেয়ে বৃহৎ সেতুটি মাথা তুলে দাঁড়ানোর পর থেকেই প্রতিদিনই সেতুটি দেখতে ভিড় করছেন মানুষ। তাক লাগানো সেতুটির পর্যটন গুরুত্ব কাজে লাগাতে পরিকল্পিত উদ্যোগের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এ অবস্থায় সেতুকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্প বিকাশের পরিকল্পনা নিয়েছে সেতু বিভাগ। 

পদ্মা পাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য আকৃষ্ট করে সবাইকে। মাওয়া-জাজিরায় সেতুর পুরো কাঠামো দাঁড়ানোর পর আকর্ষণ বেড়েছে বহুগুণ। 

নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের সফলতা গর্বের। বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রতীক- এই সেতু দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন পর্যটকের। পদ্মার পাড় ও সেতুর আশপাশে নৌ-যানে চড়ে মন ভরে দেখছেন স্বপ্নের সেতু।

আগতরা জানালেন, যেহেতু বাংলাদেশের বড় প্রজেক্ট এখানে হয়ে যাচ্ছে, এর পাশাপাশি অনেক রিসোর্ট গড়ে উঠেছে। সবাই আসছে পদ্মা সেতু দেখার জন্য। থাকার ব্যবস্থাটা যদি ভাল হয় আশা করি সামনে এটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত লাভ করবে।

দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জিয়নকাঠি পদ্মা সেতু দেখাই তাদের মূল আকর্ষণ। 

পদ্মা সেতু দেখতে আসা কয়েকজন জানালেন, উন্নয়নের যে কাজগুলো চলছে আসলে তা নিজের চোখে দেখতে এসেছি। সেতুর দুই পাশে যা দেখলাম তাতে আমরা অনেক উৎসাহিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার আবেদন, তিনি পদ্মার দুই পাড়কে এমন সুন্দর করবেন যাতে আর বেশি দৃষ্টিনন্দন হয় এবং তাতে শুধু দেশীয় পর্যটক নয়, বিদেশ থেকেও যাতে পর্যটক এই পদ্মা সেতুকে দেখার জন্য আসে। 

সেতুকেন্দ্রিক পর্যটনের ভাবনা আছে সেতু বিভাগের। সেতু নির্মাণের সাথে সাথেই পদ্মার দু’পারের তিন তিনটি সার্ভিস এরিয়ায় আবাসন ও সাইট অফিস। পরবর্তীতে পর্যটনের কাজে যা ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে সেতু কর্তৃপক্ষের। 

সেতু সচিব বেলায়েত হোসেন বলেন, আমি মনে করি এটি ট্যুরিজমের বিরাট সম্ভাবনাময় একটি। সেক্ষেত্রে
রাষ্ট্রীয় কোষাগারের আয় করার সুযোগ থাকবে।

পদ্মাকে ঘিরে পরিকল্পিত পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে এখনই ভাববার পরামর্শ দিচ্ছেন এই পর্যটন বিশেষজ্ঞ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ট্যুরিজমের সহযোগী অধ্যাপক ড. সান্তনু কুমার দেব বলেন, গাড়িতে বসে ৬.১৫ কিলোমিটারের এবং প্রাকৃতিক যে নৈসর্গ্য সেটি তারা উপভোগ করবেন। এটি আমাদের কাছে মোক্ষম সময়, এখনই একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করি যে পদ্মা সেতু এবং এর পাশপাশের যে চরগুলো রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করে কিভাবে পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা যায়।

পদ্মার দুই পাড়ের পরিবেশ ও প্রতিবেশ নিরাপদ রাখা, আর যত্রতত্র অবকাঠামো নির্মাণ করে সৌন্দর্যকে ম্লান না করার পরামর্শ এই গবেষকের।

মেগা স্ট্রাকচার পদ্মা সেতু বিকাশের সাথে সাথে পদ্মার দুই পাড়ের পর্যটন কেন্দ্রও বিবেচিত হয়েছে স্বাভাবিকভাবেই। কিন্তু পর্যটন বিশেষজ্ঞদের অভিমত হলো যে, যাতে করে অপরিকল্পিতভাবে এই পর্যটনের বিকাশ না হয়। আর সেটা যদি হয় তাহলে পরিবেশও যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মূল পদ্মা সেতুও।

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি