ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪

প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে : অর্থমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২৯, ২০ জানুয়ারি ২০২১ | আপডেট: ১৫:৩০, ২০ জানুয়ারি ২০২১

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে অপ্রত্যাশিত বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে বাংলাদেশ সফলভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলন, করোনা সংকট মোকাবেলা করে দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাড়িয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আজ সংসদে বাজেট ২০২০-২১: প্রথম প্রান্তিক (জুলাই-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও অর্থনীতির গতি প্রকৃতি শীর্ষক প্রতিবেদনে এ কথা বলেন। তিনি এ প্রতিবেদন সংসদে উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের কিংবদন্তি ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরর্দশী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে অসামান্য সাফল্যের সাথে অতি সম্প্রতি সরকার পরিচালনায় এক যুগ অতিক্রম করেছে। অপ্রত্যাশিত অভিঘাত করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বির্পযয় হতে ঘুরে দাড়ানোর যুদ্ধেও প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে। তার বিচক্ষণ দূরদৃষ্টিতে এই সঙ্কটময় পরিস্থিতির ভয়াবহতা শুরুতেই অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী র্নিদেশনায় সরকার এ বৈশ্বিক বিপর্যয় মোকাবেলায় সফল হচ্ছে।

তিনি বলেন, মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড চালু রাখার জন্য একের পর এক তিনি এ পর্যন্ত মোট ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যার আর্থিক মূল্য ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা, যা দেশের জিডিপি’র ৪.৪৪ শতাংশ। সবাইকে স্বীকার করতে হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি বিরল এবং সাহসী পদক্ষেপ।

অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি থেকে উত্তরণে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে চলতি র্অথবছরের প্রথম প্রান্তিকে, প্রবাস আয়, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ, মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য মৌলিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক চলকসমূহের অবস্থান বেশ সন্তোষজনক। টাকা-ডলার বিনিময় হার দীর্ঘদিন যাবত স্থিতিশীল রয়েছে।

তিনি বলেন, কোভিডপূর্ব এক দশক ধরে দেশের জিডিপি ক্রমাগত হারে বেড়েছে। ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে রেকর্ড ৮.১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি র্অজিত হয়েছিল। এটা ছিল এশিয়ার মধ্যে সর্ব্বোচ্চ। করোনা মহামারিজনিত বৈশ্বিক বিপর্যয়ের কারণে বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা কিছুটা শ্লথ হয়েছে। তারপরেও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ এশিয়ার মধ্যে র্সবোচ্চ ৫.২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, যেখানে চীন ও ভিয়েতনাম ছাড়া এশিয়ার উল্লেখযোগ্য অন্য সকল অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক। মাথাপিছু জাতীয় আয় বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলারে।

আ, হ, ম মুস্তাফা কামাল বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন শেষে সরকার অষ্টম পঞ্চর্বাষিক পরিকল্পনা (২০২১-২০২৫), দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০২১-২০৪১) এবং ব-দ্বীপ পরিকল্পনা, ২১০০ বাস্তবায়নও শুরু করা হয়েছে। জাতির অভীষ্ট লক্ষ্য হলো ২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ উন্নত দেশের কাতারে শামিল হওয়া। তিনি চলতি র্অথবছরের বাজেটের প্রথম প্রান্তিকের মৌলিক এলাকার উপর আলোকপাত করে জানান

এ সময়ে এনবিআর কর রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.১১ শতাংশ। মোট সরকারি ব্যয় ৭.৫৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার দাঁড়িয়েছে মোট বরাদ্দের ৮.২ শতাংশে। প্রবাস আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪৮.৫৪ শতাংশ।

তিনি বলেন, সরকার ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা প্রদান ও রেমিট্যান্স প্রেরণ প্রক্রিয়া সহজীকরণের কারণে প্রবাস আয় বিপুলভাবে বেড়েছে। প্রবাস আয়ের প্রবৃদ্ধির এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, এ প্রান্তিকে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২.৫৪ শতাংশ; বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখে দাঁড়িয়েছে ৩৯.৩১ বিলিয়ন ডলার। এটা বর্তমানে ৪৩ বিলিয়ন র্মাকিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এ সময়ে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বর ২০২০ সময়ে হয়েছে ৫.৬৯ শতাংশ।
সূত্র : বাসস
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি