ঢাকা, রবিবার   ০৫ মে ২০২৪

কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্নিঝড় `মোরা’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১৪, ৩০ মে ২০১৭ | আপডেট: ১৩:৩৪, ৩০ মে ২০১৭

কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করেছে ঘূর্নিঝড় `মোরা’। ঝড়ে সেন্টমার্টিনের শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বেশ কিছু এলাকা। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও অদূরবর্তী দ্বীপ-চরগুলোতে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসহ খুলনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, বরগুনা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত অব্যাহত রয়েছে। বন্ধ আছে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের সকল ফ্লাইট। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নিয়েছে দুর্গত মানুষ। 
ভোর ৫টা থেকে কক্সবাজার অতিক্রম শুরু করে ঘূর্নিঝড় মোরা। বাতাসের তীব্রতায় ভেঙ্গে পড়ে গাছপালা। সকাল ৬টায় ১৩৫ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়ায় কক্সবাজার সদর ও টেকনাফের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় মোরা।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ ঘুনিভূত হয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর হয়ে উত্তর-পশ্চিমে অগ্রসর হচ্ছে।
কক্সবাজার সীমান্ত এলাকা, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে বাতাসের তীব্রতায় উপড়ে গেছে গাছপালা, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে টিনের ঘরবাড়ি, গবাদি পশু ও পানের বরজ। সেন্টমার্টিনে বিধ্বস্ত হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। দ্বীপের অধিকাংশ মানুষ অবস্থান নিয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সংলগ্ন উত্তরপূর্ব ও মধ্য বঙ্গোপসাগর এখন বেশ উত্তাল। উপকূলীয় অঞ্চলের ৫০ হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুমসহ উপকূলবর্তী ৫৩৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছেন দুর্গত মানুষরা।

এদিকে গেলো রাতে জোয়ারের কয়েকফুট পানিতে তলিয়ে যায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, উখিয়া, মহেশখালী, মাতারবাড়ি এলাকাসহ জেলার প্রায় ৩০টি গ্রাম।
এর আগেই সাগরের সব মাছ ধরার ট্রলার নিরাপদে আশ্রয় নেয়। বন্ধ রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে জাহাজ থেকে পণ্য খালসসহ সব ধরনের কার্যক্রম। মংলা বন্দর এলাকায় ৩টি কন্ট্রোল রুম থেকে পরিচালনা করা হচ্ছে ৪২টি সাইক্লোন শেল্টার।
পটুয়াখালীর সমূদ্র তীরবর্তী বেশকিছু এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও সাতক্ষীরায় গেলোরাত থেকে বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইছে।
উপকূলীয় এলাকায় গঠন করা হয়েছে মেডিকেল টিম। প্রস্তুত রাখা হয়েছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচীর আওতায় কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক কর্মী। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেয়া মানুষের নিরাপত্তার পাশাপাশি নিশ্চিত করা হয়েছে খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থা।

 

 

 

 

 

 

 

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি