ঢাকা, শুক্রবার   ০৪ জুলাই ২০২৫

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টিকাদান কর্মসূচিতে রেড ক্রিসেন্টের সহায়তা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০০, ১০ আগস্ট ২০২১

Ekushey Television Ltd.

কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের জন্য কোভিড-১৯ এর টিকাপ্রদান কর্মসূচিতে সহায়তা করছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (বিডিআরসিএস)।

মঙ্গলবার(১০ আগস্ট) শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে ৩৪টি ক্যাম্পে রেড ক্রিসেন্টের প্রায় ১০০ প্রশিক্ষিত কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবক ইউএনএইচসিআর ও স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে একযোগে কাজ করছেন।

প্রাথমিকভাবে, পঞ্চান্ন ও তদোর্ধ বয়সী ৪৮ হাজার ক্যাম্পবাসী এই কর্মসূচির আওতায় আসবেন। অতিরিক্ত ঘনবসতি বিভিন্ন ক্যাম্পে বসবাসকারী প্রায় নয় লক্ষ মানুষকে কোভিড-১৯ সংক্রমণের বড় ঝুঁকিতে ফেলেছে। এছাড়াও সীমিত স্বাস্থ্যসেবা ও নিরাপদ পানির স্বল্পতাসহ এদের মধ্যে অনেকেরই পূর্বে থেকে বিদ্যমান স্বাস্থ্য জটিলতা রয়েছে। ২০১৭ সালের আগস্টে নতুন করে আসা অতিরিক্ত মানুষ কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের আগে থেকেই কক্সবাজারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে যা এখন আরও জটিল আকার ধারণ করছে।

করোনা মোকাবেলায় সারা দেশের মতো কক্সবাজারেও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস এন্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিস (আইএফআরসি) এর সহায়তায় পপুলেশন মুভমেন্ট অপারেশন (পিএমও), ইউএনএইচসিআরের সহায়তায় মিয়ানমার রিফিউজি রিলিফ অপারেশন (এমআরআরও) এবং কক্সবাজার জেলা ইউনিটের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধভাবে চলছে এসব কার্যক্রম।

ডেলটা ভেরিয়েন্টের সংক্রমণের মধ্যেও কক্সবাজারে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ এবং এই ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় ২০০ জন। এই জেলায় সংক্রমণের হার প্রায় ২০ শতাংশ। ক্যাম্পগুলোতে এখন পর্যন্ত প্রায় ২,৫০০ এর অধিক মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং মারা গেছেন প্রায় ২৫ জন।

সোসাইটির হেড অব অপারেশন এম এ হালিম বলেন, 'করোনার সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে অন্যান্য জায়গার মতো কক্সবাজারের সকল নাগরিকদেরকে টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনার বিকল্প নেই। এতে বহুমানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে। এই মহামারি বন্যা, ভূমিধ্বস এবং আগুনসহ বহুমাত্রিক সংকটে জর্জরিত ক্যাম্পের বাসিন্দাদের জীবনকে আরও জটিল করে তুলেছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্টের লক্ষাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবকরা সরকারের টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে দেশব্যাপী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার ও ক্যাম্পগুলোতেও আমাদের সহকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা টিকাকার্যক্রমে সহায়তা করছে। এর পাশাপাশি ক্যাম্পের মানুষকে টিকা নিতে আগ্রহী করে তোলার জন্য বাড়িতে-বাড়িতে গিয়ে টিকাসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রচারে রেড ক্রিসেন্ট স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন।'

বাংলাদেশে এই পর্যন্ত ৩ শতাংশের কম মানুষ সম্পূর্ণভাবে কোভিড-১৯ টিকা সুবিধার আওতায় এসেছেন এবং রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা সরকারের এসব কর্মসূচিতে শুরু থেকেই সহযোগিতা করছে। দেশে চলমান গণ টিকা কর্মসূচিতেও সহায়তা করছে রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। ক্রমবর্ধিত সংক্রমণ মোকাবেলায় কক্সবাজারে রেড ক্রিসেন্ট এখন পর্যন্ত দুইটি আইসোলেশন ও ট্রিটমেন্ট সেন্টার তৈরি করেছে, যার মধ্যে এখন একটি চালু রয়েছে। 
কেআই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি