ঢাকা, শনিবার   ১১ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধু বাঙালির অনুপ্রেরণার বাতিঘর: খাদ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২০, ১৫ আগস্ট ২০২১

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অনুপ্রেরণার বাতিঘর। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিবেদিত হওয়া তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সর্বোত্তম উপায়।

আজ রোববার ঢাকায় খাদ্যভবন অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২১ উপলক্ষ্যে "বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ" শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, টুঙ্গিপাড়ার খোকার জন্ম না হলে বাঙালি স্বাধীন দেশ পেত না। বঙ্গবন্ধু মানেই একটি স্বাধীন দেশ, একটি পতাকা। মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। যিনি সারা জীবন মানুষের সেবায় কাজ করে গেছেন।

তিনি বলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার পর প্রতিবাদ করা যায়নি। আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি। শুধু তাই নয় পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে টেলিভিশন কিংবা বেতারে বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত প্রচার হতো না। ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। চক্রান্তকারীরা ভেবেছিল তাঁকে হত্যা করলে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যাবে। তাদের সে চক্রান্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ইতিহাসের সত্যকে মুঁছে ফেলা যায়নি, জীবিত মুজিব থেকে মৃত মুজিব হয়েছেন আরও শক্তিশালী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে শুরু হয়েছে। এখনও যে সকল হত্যাকারী দেশের বাইরে পালিয়ে আছে দ্রুত সময়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হত্যাকান্ডের মূল চক্রান্তকারী ছিলেন জিয়া, তার নেতৃত্বেই ১৫ আগস্ট কলংকজনক হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়েছিল।

খাদ্য অধিদপ্তেরর মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। এছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো: শহীদুজ্জামান ফারুকী,অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম, খাদ্য অধিদপ্তেরর অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ঘাতকের হাতে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার সকলের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে খাদ্যমন্ত্রী খাদ্যভবনের নিচতলায় স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে খাদ্যমন্ত্রী খাদ্যভবন প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।

এসি
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি