বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি পদকপ্রাপ্তির ৪৯তম বার্ষিকী (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:১৭, ২৩ মে ২০২২ | আপডেট: ১১:২৪, ২৩ মে ২০২২
শোষিতের পক্ষে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। জোট নিরপেক্ষ নীতি, শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে তাঁর অবস্থানেই বিশ্বসভায় আদর্শ দেশের মর্যাদা পায় বাংলাদেশ। স্বাধীনতা আর শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৭৩ সালের আজকের দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে তুলে দেয়া হয় জুলিও কুরি পদক।
‘বঙ্গবন্ধু’ হয়েছিলেন ১৯৬৯ সালেই। ১৯৭১ সালে নির্যাতিত, বঞ্চিত, অবহেলিত জাতিকে দেখিয়ে ছিলেন মুক্তির পথ, দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধ তাকে করেছে বাঙালির ‘অবিসংবাদিত নেতা’ ও জাতির পিতা।
বিশ্বশান্তিতে আগ্রহ ছাত্রাজীবনেই। ভাষা আন্দোলনে কারাভোগকারী মুজিব বায়ান্নর অক্টোবরে চীনে পিস কনফারেন্স অব দ্য এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসিফিক রিজিওন্সে যোগ দেন। ৩৭টি দেশের শান্তিকামী নেতাদের সাথে মতবিনিময়ে সংকল্প তীব্র হয়। ছাপ্পান্নর এপ্রিলে স্টকহোমে বিশ্বশান্তি পরিষদের সম্মেলনে তাঁর স্পষ্ট উচ্চারণ- ‘পৃথিবী দুভাগে বিভক্ত, কিন্তু আমি শোষিতের পক্ষে।’
যেখানেই মানবাধিকারের লঙ্ঘন, মানুষের ন্যায্য স্বাধীনতার খর্ব- সেখানেই প্রতিবাদের ঝড় তোলেন মহানায়ক। বৈষম্য, দারিদ্র্য, বিচারহীনতা নিরসনে সংগ্রাম করেছেন আজীবন।
৭ মার্চের ভাষণেও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ দ্রোহের ডাক। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয়নি। সব ধরনের অস্ত্র প্রতিযোগিতা নির্মূলে দুনিয়ার শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে অবস্থান ছিল তাঁর। সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে এগিয়ে চলছিল দেশ।
জনসেবায় জীবন উৎসর্গের দর্শন আর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিনায়কত্ব এই বিবেচনায় বিশ্বশান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর পদকপ্রাপ্ত হিসেবে বঙ্গবন্ধুর নাম ঘোষণা করে। প্রেসিডেনশিয়াল সভায় ১৪০ দেশের প্রায় ২০০ সদস্য একমত হয়েছিলেন। পরের বছর বাংলাদেশে ২৩তম এশীয় শান্তি সম্মেলনে সেই পদক বঙ্গবন্ধুকে পরিয়ে দেন পরিষদের তৎকালীন সেক্রেটারি জেনারেল রমেশচন্দ্র।
রমেশচন্দ্র বলেছিলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলার নন, তিনি বিশ্বের এবং তিনি বিশ্ববন্ধু।’
স্বাধীন বাংলাদেশে কোনো রাষ্ট্রনেতার সেটিই ছিল প্রথম আন্তর্জাতিক পদক লাভ।
এএইচ/
আরও পড়ুন