ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

জঙ্গি ছিনতাই: দীপন স্মৃতি সংসদের উদ্বেগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০২, ২২ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৪:২১, ২২ নভেম্বর ২০২২

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দীপন স্মৃতি সংসদ। 

মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) সংগঠনটির সদস্য সচিব ডা. রাজিয়া রহমান জলি স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিত বলা হয়, গত রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে প্রকাশ্যে সিএমএম কোর্টের প্রধান ফটকের সামনে একজন পুলিশ কনস্টেবলের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রকাশক দীপন হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার অস্বাভাবিক ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত, বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ। আদালতের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোনো প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়া শুধু পেপার স্প্রে ব্যবহার করে শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম যানজটপূর্ণ এলাকা থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ছিনিয়ে নেয়ার অস্বাভাবিক ঘটনা রাষ্ট্র ও সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তায় অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের চরম অবহেলা, অসতর্কতা বা সহযোগিতায় প্রশিক্ষিত জঙ্গিগোষ্ঠির নিখুঁত পরিকল্পনা সহজতরভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় দীপন স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

জঙ্গিবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কারাবন্দি আসামিদের সুপরিকল্পিত যোগাযোগ কীভাবে ঘটে সে বিষয়টিও তদন্তের দাবি রাখে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৭ সালে উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে উপস্থাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে আসামি পরিবহনের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাধারণ একজন আসামির জন্য তিনজন ও জঙ্গিদের ক্ষেত্রে চারজন পুলিশ রাখার বিধান রয়েছে। ২০ নভেম্বর দীপন এবং অভিজিৎ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জন আসামিকে অন্য একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে চার আসামিকে ১৬ জনের পরিবর্তে মাত্র একজন পুলিশ কনস্টেবল দিয়ে গারদে নিয়ে যাওয়ার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ দুজন আসামিকে ছিনতাই করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়।

শহরের সব সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সিসিটিভি আওতায় থাকার পরও তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেও আসামিদের উদ্ধার করতে না পারা দুঃখজনক। পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে ধরতে এবং তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাই। গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি মামলার বিচারকার্য কেন এতদিনেও চূড়ান্ত হয়নি এবং দণ্ড কার্যকর করা হয়নি সে বিষয়েও দীপন স্মৃতি সংসদের সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি