ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ায় দীপন স্মৃতি সংসদের গভীর উদ্বেগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:১৪, ২৩ নভেম্বর ২০২২

প্রকাশ্য দিবালোকে পুরনো ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রধান ফটকের সামনে ১ জন পুলিশ কনস্টাবলের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে প্রকাশক দীপন হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে রোববার (২০ নভেম্বর) ছিনিয়ে নেওয়ার অস্বাভাবিক ঘটনায় আমরা স্তম্ভিত, বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ।

বৃধবার (২৩ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেন দীপন স্মৃতি সংসদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আদালতের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ জায়গায় কোনপ্রকার আগ্নেয়াস্ত্র ব্যাতীত শুধু পিপার স্প্রে ব্যবহার করে শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম যানজটপূর্ণ এলাকা থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার অস্বাভাবিক ঘটনা রাষ্ট্র ও সরকারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আদালত প্রাঙ্গণের নিরাপত্তায় অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের চরম অবহেলা, অসতর্কতা বা সহযোগিতায় প্রশিক্ষিত জঙ্গিগোষ্ঠির নিখুঁত পরিকল্পনা সহজতরভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় দীপন স্মৃতি সংসদের পক্ষ থেকে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। 

জঙ্গিবাহিনীর সদস্যদের সাথে কারাবন্দী আসামিদের সুপরিকল্পিত যোগাযোগ কিভাবে ঘটে সে বিষয়টিও তদন্তের দাবী রাখে।

২০১৭ সালে উচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী, আসামিকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে উপস্থাপন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তাই আসামী পরিবহনের জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাধারণ ১জন আসামীর জন্য ৩ জন ও জঙ্গিদের ক্ষেত্রে ৪জন পুলিশ রাখার বিধান রয়েছে। ২০ নভেম্বর দীপন এবং অভিজিৎ হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জন আসামিকে অন্য একটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। হাজিরা শেষে ৪ জন আসামীকে ১৬ জনের পরিবর্তে মাত্র ১ জন পুলিশ কনস্টেবল দিয়ে গারদে নিয়ে আসার সময় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত দুর্ধর্ষ ২ জন আসামিকে ছিনতাই করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে জানা যায়। এছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে আদালতে হাজির না করার নির্দেশনা আছে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর। 

দেশে আইনের শাসন বহাল রাখার জন্য দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের নীতি বাস্তবায়নের ব্যাপারে রাষ্ট্র ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের আরও বেশি সতর্ক ও আন্তরিক হওয়া জরুরি। শহরের সকল সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সিসিটিভি সার্ভাইলেন্সের আওতায় থাকার পরও তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ৪৮ ঘন্টার মধ্যেও আসামীদের উদ্ধার করতে না পারা দুঃখজনক।

পালিয়ে যাওয়া জঙ্গিদের দ্রুততর সময়ের মধ্যে ধরতে এবং তাদের সহযোগীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর আন্তরিক তৎপরতার জোরদারের দাবি জানাই। গুরুত্বপূর্ণ এই দুটি মামলার বিচারকার্য কেন এতদিনেও চুড়ান্ত হয় নাই এবং দণ্ড কার্যকর করা হয় নাই সে বিষয়েও দীপনের বাবা অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, দীপন স্মৃতি সংসদের সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি