ঢাকা, সোমবার   ২৯ এপ্রিল ২০২৪

শৈত্যপ্রবাহ আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে ছিন্নমূল-শ্রমজীবীরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২০, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১১:০৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০২২

পৌষের শুরুতেই দেখা মিলল চলতি মৌসুমের প্রথম মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। রাজধানীসহ সারাদেশেই হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবীরাও।

শুক্রবার থেকে চার বিভাগের অনন্ত ১০টি জেলায় এ শৈত্যপ্রবাহ দেখা দিলেও রাজধানীসহ সারাদেশেই এর প্রভাব পড়েছে। সারাদেশেই তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি বইছে শীতল হাওয়া। রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে তাপমাত্রা নেমেছে ৮ ডিগ্রিতে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট বলছে, শনিবার রাজশাহী বিভাগে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনা বিভাগে ৮.৫, বরিশাল বিভাগে ৮.২, ও চট্টগ্রাম বিভাগে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

একদিন আগে শুক্রবার রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। আগের দিন বৃহস্পতিবার রাজশাহীতে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় বিরাজমান রয়েছে। এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। ফলে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। শেষ রাত থেকে সকাল পর্যন্ত নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে নামলে তা মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচের তাপমাত্রাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।

এদিকে ঘন কুয়াশায় সড়ক ও মহাসড়কে যান চলাচলে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় মোটরযান চালক ও মালিকদের সতর্কতামূলক চারটি নির্দেশিকা দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চালকদের প্রতি এসব সতর্কতামূলক নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।

নির্দেশনায় গাড়িচালক ও মালিকদের প্রতি বলা হয়, কুয়াশায় দৃষ্টিসীমার মধ্যে থামানো যায় এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীরগতিতে সর্বদা নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে রাস্তায় গাড়ি চালাতে হবে।

এতে বলা হয়, কুয়াশাচ্ছন্ন অবস্থায় গাড়ির হেডলাইট ‌‘লো-বিম বা ডিপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হবে। ‘হাই-বিম বা আপার’ কুয়াশাকে আরও বেশি ঘন করে বিধায় ‘হাই-বিম বা আপার’ জ্বালিয়ে গাড়ি চালানো যাবে না।

এতে আরও বলা হয়, লেন পরিবর্তন বা ওভারটেকিং করা যাবে না। যেসব স্থানে দৃষ্টি যায় না বা বাঁক নেওয়ার আগে দেখা যায় না, সেসব স্থানে দরকার হলে বিপদ এড়ানোর জন্য হর্ন বাজাতে হবে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ঘন কুয়াশার কারণে একেবারেই দেখা না গেলে বা দৃষ্টিসীমা শূন্যের কোঠায় পৌঁছে গেলে নিরাপদ জায়গায় গাড়ি থামিয়ে হেডলাইট বন্ধ করে হ্যাজার্ড লাইট জ্বালাতে হবে।

এমএম/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি