ঢাকা, সোমবার   ২৮ এপ্রিল ২০২৫

জিম্মিদশা অবসানে চূড়ান্ত আলোচনা চলছে দস্যুদের সাথে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২৪, ৬ এপ্রিল ২০২৪

Ekushey Television Ltd.

ভারত মহাসাগর থেকে ছিনতাই হওয়া এমভি আবদুল্লাহর জিম্মিদশা অবসানের চুড়ান্ত আলোচনা চলছে দস্যুদের সাথে। ধারণা করা হচ্ছে ঈদের পর পরই নাবিক ও জাহাজ দস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হবে। মুক্তির পর জাহাজকে পার্শ্ববর্তী তৃতীয় কোন দেশে নোঙর করা হবে। এক্ষেত্রে কাতার কিংবা সংযুক্ত আবর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে হামরিয়া বন্দরের নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে দস্যুদের হাতে জিম্মি হয়। ওই বন্দরে কয়লা খালাসের পাশাপাশি নাবিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হবে। 

জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজে থাকার মত মানসিক অবস্থা কারো থাকতে নাও পারে। এজন্য বিকল্প নাবিকদের মাধ্যমে জাহাজ দেশে ফিরিয়ে আনতে আরো ২৩ নাবিককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

নির্দেশনা পাওয়া মাত্র তারা যাতে ‘মুভমেন্ট’ করতে পারে এ জন্য তাদের মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে জাহাজের মালিক কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠি কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্পোরেশন।

কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘দস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার পর নাবিকরা মানসিকভাবে জাহাজ পরিচালনার জন্য ফিট নাও থাকতে পারে। এজন্য বিকল্প ২৩ জন নাবিককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ’

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা নিয়ে আবর আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জাহাজে ২৩ নাবিক রয়েছেন। যাদের সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। জলদস্যুদের কবলে পড়া জাহাজটি চট্টগ্রাম ভিত্তিক শিল্পগোষ্ঠি কবির গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিং কর্পোরেশনের।  জাহাজটি সাধারণ পণ্য পরিবহণ করে। ২০ মার্চ দুপুরে জলদস্যুদের প্রথম ফোন পায় মালিকপক্ষ। 

কেআই//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি