ঢাকা, শনিবার   ০৪ মে ২০২৪

বিশ্বজুড়ে এল নিনোর প্রভাবে বন্যা -খরায় দেখা দিতে পারে খাদ্য সংকট

প্রকাশিত : ০৮:৫১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ | আপডেট: ১৬:২২, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

এল নিনোর যার ফলে সমুদ্রে জলের উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়ে প্রবল বৃষ্টিপাত ও খরা দেখা দিচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগর ও এর উপকূলবর্তী অঞ্চলে। পৃথিবীর তাপমাত্রার সাথে সম্পর্ক থাকলেও এল নিনোর কারণ সম্পর্কে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। তবে আশংকার কথা হলো, চলতি বছর এল নিনোর প্রভাবে বিশ্বজুড়ে বন্যা -খরায় দেখা দিতে পারে তীব্র খাদ্য সংকট। অসময়ে খরা আবার প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা, প্রকৃতির এমন বিরুপ আচরনে অসহায় বিশ্ববাসী। শান্ত প্রকৃতির অশান্ত রুপ এল নিনো। প্রশান্ত মহাসাগরে বাতাসের গতিবেগ থাকে পূর্ব থেকে পশ্চিমে। যার ফলে স্বাভাবিক সময়ে দক্ষিন আমেরিকার উপকূলীয় অঞ্চলে সাগরের উপরিভাগের জল থাকে ঠান্ডা। অন্যদিকে অস্টেলিয়া ও এশিয়ায় সমুদ্রের উপরিভাগে অবস্থান থাকে তুলনামূলক গরম জলের। কিন্তু প্রতি ২ থেকে ৮ বছর পর পর বাতাসের অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়।  সমুদ্র জলের স্বাভাবিক তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েই সৃষ্টি হয় এল নিনোর। যার ফলে দেখা দেয় প্রচুর বৃষ্টিপাত বন্যা ও খরা। এ অবস্থা বিরাজ করে এক থেকে দেড় বছর পর্যন্ত। এর পর সম্ভাবনা থাকে আরেক বিপর্যয়ের, লা নিনো। যার ফলে সমুদ্রে উপরিভাগের জল ক্রমশ ঠান্ডা হতে থাকে। ২০১৫ সালে শেষ দিকে শুরু হওয়া এল নিনোর প্রভাবে ১৬’র শুরুতেই বন্যায় প্লাবিত হয় ব্রাজিলসহ দক্ষিন আমেরিকার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল। এদিকে আফ্রিকাতে চলছে ভয়াবহ খরা। এরই মধ্যে জিম্বাবুয়েসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে দেখা দিয়েছে খাবার সংকট। সংকট সমাধানে তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। বিশেষজ্ঞদের আশংকা চলতি বছর জুড়ে চলতে পারে এ বিপর্যয় যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এশিয়া এমনকি অষ্ট্রেলিয়াও।
Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি