ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

আমি সাংবাদিক পরিবারেরই একজন: প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৭, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিজেকে সাংবাদিক পরিবারের সদস্য হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি আপনাদের বাইরের কেউ নই। আমাকেও আপনাদের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে গণ্য করবেন।

তবে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, সংবাদপত্রের সহযোগিতা তিনি কখনও সেভাবে পাননি। যদিও কে কী লিখল তা নিয়ে তিনি ভাবেন না। তিনি কাজ করেন আত্মবিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে। 

আজ বুধবার সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনাজনিত আহত এবং নিহত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহায়তা ভাতা/অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ১১৩ জন অসুস্থ ও অস্বচ্ছল সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে অনুদানের চেক তুলে দেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন, সাংবাদিকদের সঙ্গে সবসময় সম্পর্ক ছিল। এটা হয়েছে জাতির পিতার কারণে। তিনি ইত্তেহাদ, মিল্লাত, ইত্তেফাক এসব পত্রিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ইত্তেফাক নিজে বিক্রি করেছেন। সাংবাদিকতায় তিনি কাজ করেছেন। তাঁর আত্মজীবনীতে লেখা আছে, তিনি সংবাদপত্রের লোক ছিলেন। এ হিসেবে আপনারা আমাকেও আপনাদের পরিবারের সদস্য হিসেবে গণ্য করবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সংবাদপত্রকে অনেকে বলেন সমাজের দর্পণ। এখন যোগ হয়েছে ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া। আমরা ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন মাত্র একটা টেলিভিশন ও একটি রেডিও ছিল। সেটিও ছিল রাষ্ট্রায়ত্ব। ক্ষমতায় এসে টেলিভিশন উন্মুক্ত করে দিই। গণমাধ্যমকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিই। এর একটাই উদ্দেশ্য ছিল কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও মানুষের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা সংবাদপত্র খাতও উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

সাংবাদিক ও গণমাধ্যমের প্রতি জাতির জনক আন্তরিক ছিলেন এমনটা জানিয়ে তার কন্যা বলেন, ‘আপনারা জানেন, স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানিরা পত্রিকা পুড়িয়ে দিয়েছিল। স্বাধীনতার পর সব সাংবাদিককে কিন্তু সরকারি চাকরির মর্যাদা দিয়ে ভাতার ব্যবস্থা করেছিলেন জাতির জনক। তাদের অনেককে সরকারি চাকরি দিয়েছিলেন। এই সুযোগ দেয়ার জন্য একটি কমিটিও করা হয়েছিল। যদিও সেই কমিটির সদস্যরা পঁচাত্তরের পর সবচেয়ে বড় সমালোচক হয়েছিল।

সাংবাদিকদের কল্যাণে ট্রাস্ট গঠনের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি দেখলাম সাংবাদিকরা কষ্ট পাচ্ছেন, তখন কল্যাণ ট্রাস্ট করে দিই। প্রথমে ২০ লাখ দিয়ে শুরু করি। এখন এই ট্রাস্টে আছে ১৪ কোটি টাকা। আমি আরও ১০ কোটি টাকা দেব। পরে সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানান, সংবাদপত্রের মালিকদের কাছ থেকে পাওয়া সাপেক্ষে তিনি আরও ২০ কোটি টাকা দেবেন এই ট্রাস্টে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এত দিচ্ছি, মিডিয়ার মালিকরা কেন দেবে না? আমাদের বলার পর মাত্র দু’জন দিয়েছেন। আনোয়ার হোসেন মঞ্জু (ইত্তেফাক) ও অঞ্জন চৌধুরী (মাছরাঙা)। সবার আগে টাকা নিয়ে আসেন মাছরাঙার অঞ্জন চৌধুরী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী মজা করে বলেন, অনুদান যারা পাচ্ছেন গোপালগঞ্জের তো কেউ নেই, সব দেখি কুষ্টিয়ার (তথ্যমন্ত্রীর এলাকা)। তবে আমি এক দিক দিয়ে খুশি, কারণ গোপালগঞ্জে কোনো অস্বচ্ছল নেই। আমি চাই সবাই স্বচ্ছল হয়ে যাক।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রহমত আলী এমপি প্রমুখ।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি