ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪

বাংলাদেশ থেকে বিশ্ব নেতৃত্বে শেখ হাসিনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

দারিদ্রমুক্ত, ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার যোগ্য নেতৃত্ব ও সুশাসনে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক অগ্রগতি, অবকাঠামো নির্মাণ, জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমন, ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ। ছুটে চলছে উন্নয়নের অগ্রপানে। 

তাঁর রাজনৈতিক ভূমিকার কারণেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বপরিসরে নতুন মর্যাদায় অভিষিক্ত। সম্প্রতি প্রকাশিত  কলরেডি নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জরিপে উঠে এসেছে তার জনপ্রিয়তার তথ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আগের চেয়ে ১০ শতাংশ বেড়ে ৮০ শতাংশে হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এছাড়া শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য জীবদ্দশায় হাজারও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ডিগ্রী এবং পুরষ্কার অর্জন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ত্রাস ও জঙ্গি দমনেও তিনি বিশ্বনেতাদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন।

নিজের কর্ম দক্ষতা দিয়ে তিনি হয়েছেন নানা বিশেষণে বিশেষায়িত। সততা, নিষ্ঠা, রাজনৈতিক দৃঢ়তা; গণতন্ত্র, শান্তি, সম্প্রীতি ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের অনন্য রূপকার আর মানব কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ হিসেবেও স্বীকৃতি লাভ করেছেন তিনি। এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাবার মতো আমাকে যদি জীবন উৎসর্গ করতে হয়, আমি তা করতেও প্রস্তুত।’

শান্তির অগ্রদূত শেখ হাসিনা দেশের মানুষের জন্য নিজের প্রাণকে তুচ্ছ করতে পারেন নির্দ্বিধায়। এমন বক্তব্যে সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভরসার কেন্দ্রবিন্দু হয়েছেন তিনি।

শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা পানি চুক্তি সম্পাদিত হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন কম-বেশি পানির ন্যায্য হিস্যা পাচ্ছে। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিদের মধ্যকার দীর্ঘদিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বন্ধে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির পর আস্তে আস্তে বাঙালি ও পাহাড়িদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষ প্রায় শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। চুক্তির কারণে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রতি বিরাজ করছে।

বাংলাদেশের শহীদ দিবস ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি আসে বঙ্গবন্ধুকন্যার হাতেই। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিগত মেয়াদে ২০০৯ সালে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্র সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য হেগের সালিশি আদালতে নোটিশ করে।

এর পথ ধরেই ২০১২ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র সীমার রায় পায়। দুই রায়ে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশ ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটারের রাষ্ট্রীয় সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল মহীসোপান এলাকায় সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।  ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি সই হলেও সেটা কার্যকর হয়নি।  দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক জীবনে অনেকগুলো পুরস্কার ও সম্মাননা পদক পেয়েছেন।  এর কোনটি পেয়েছেন তার ব্যক্তিগত অর্জনের জন্য, আবার কোনোটি পেয়েছেন সরকারপ্রধান হিসেবে সামগ্রিক সাফল্যের জন্য।  

শেখ হাসিনা জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাজ্যের এবারেট ডান্ডি ও ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের বিশ্বভারতী, অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টর অব ল’জ ডিগ্রি পেয়েছেন। 

শেখ হাসিনা যেসব পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-এজেন্ট অব চেঞ্জ পুরস্কার (২০১৬), প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন (২০১৬), চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ (২০১৫), আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পদক (২০১৫), সাউথ-সাউথ ভিশনারি পুরস্কার (২০১৪), শান্তি বৃক্ষ (২০১৪), রোটারি শান্তি পুরস্কার (২০১৩), GAVI পুরস্কার (২০১২), সাউথ- সাউথ পুরস্কার (২০১১), ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার (২০১০),  এমডিজি পদক (২০১৩ ও ২০১০), M K Gandhi পুরস্কার (১৯৯৮), CERES মেডেল (১৯৯৯), Pearl S. Buck পুরস্কার (২০০০), মাদার তেরেসা শান্তি পুরস্কার (১৯৯৮), ইউনেস্কো’র Felix Houphouet- Boigny শান্তি পুরস্কার (১৯৯৮) ইত্যাদি। 

এসব অর্জনের পাশাপাশি শেখ হাসিনা তার নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের কারণে বিভিন্ন স্বীকৃতিও অর্জন করে নিয়েছেন। এর মধ্যে বিশ্বখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর একশ নারীর তালিকায় ৩৬তম স্থান পান শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নিউ ইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরিপে তিনি ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেন।

টিআর/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি