ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪

অনলাইন ক্যাসিনো কি, বাংলাদেশে এটা কিভাবে খেলা হয়? (ভিডিও)

নাজমুশ শাহাদাৎ

প্রকাশিত : ২৩:০৪, ১ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ২৩:৪৬, ১ অক্টোবর ২০১৯

রাজধানীর ক্লাবপাড়ার ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোকাণ্ডের পর এবার আলোচনায় অনলাইন ক্যাসিনো। আর এই অনলাইন ক্যাসিনো কাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে সেলিম প্রধানসহ চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। দণ্ডপ্রাপ্ত সেলিম প্রধান হলেন ক্যাসিনো লোকমানের এক সহযোগী। বাকি তিনজন হলেন- সেলিমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. রুমন, সহযোগী মো. আক্তারুজ্জামান ও মামুন।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) র‌্যাব-১ সেলিম প্রধানের গুলশান ও বনানীর বাসায় অভিযান চালিয়ে নগদ ২৮ লাখ টাকা, ৮ কোটি টাকার চেকসহ বিপুল পরিমাণ বিদেশি অর্থ ও অনলাইন ক্যাসিনোর সরঞ্জাম উদ্ধার করে।

এর আগে সোমবার দুপুরে ব্যাংককে পালিয়ে যাওয়ার সময় অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার অভিযোগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে থাই এয়ারলাইন্সের একটি বিমান থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র‌্যাব। আটক সেলিম প্রধান বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার সহযোগী বলে জানা গেছে। 

পরে সেলিমের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতভর গুলশান-২ এর ৯৯ নম্বর রোডের ১১/এ বাসায় অভিযান চলে। উদ্ধার হয় ৭ লাখ টাকা। পরে সেখান থেকে বনানীর আরেকটি বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে র‍্যাব।

তবে প্রশ্ন উঠেছে যে, দেশ-বিদেশের ক্লাবগুলোর ক্যাসিনোতে না হয় সরাসরিভাবে জুয়া খেলা হয়, তাহলে অনলাইনে ক্যাসিনো বা জুয়া কিভাবে খেলা হয়? 

এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, অনলাইনে এমন বেশ কয়েকটি গেম আছে, যেগুলোর মাধ্যমে ক্যাসিনো বা জুয়া খেলত জুয়াড়িরা। যেগুলো মূলত অ্যাপসভিত্তিক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- টি-২১ ও পি-২৪। এ গেমগুলো কীভাবে খেলতে হবে এবং এর সদস্য কিভাবে হতে হবে, তার নির্দেশনা দেয়া থাকত বাংলা ভাষায়। আর সেলিম প্রধানই এগুলো বানিয়েছিলেন সফটওয়ারের মাধ্যমে। যার নাম দেয়া হয়েছিল ‘প্রধান গ্রুপ’।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকালে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক সারওয়ার-বিন-কাশেম।

তিনি জানান, ‘ক্যাসিনো খেলতে হলে একজন গ্রাহককে প্রথমে তার মোবাইলে পি-২৪ অ্যাপসটি ইন্সটল করতে হতো। এই অ্যাপস দিয়েই খেলা যেত বিভিন্ন ধরনের গেম। যে গেমগুলো খেলতে হলে খুলতে হতো নির্দিষ্ট ব্যাংক অথবা বিকাশ একাউন্ট। ভিসা কার্ড কিংবা মাস্টার কার্ডের মাধ্যমেও একাউন্ট খোলা যেত। একাউন্ট খোলার পর টাকা রিচার্জ করে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে তবেই খেলা সম্ভব হতো সেই গেমস। গেম খেলে জিতলে টাকা ফেরত আসত নির্দিষ্ট ওই একাউন্টে। আর হারলে টাকা কাটা যেত ব্যক্তির ওই একাউন্ট থেকে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে টাকা যেত তিনটি ব্যাংক একাউন্টে। সপ্তাহের একদিনে এই টাকা জমা রাখা হতো একটা একাউন্টে। এছাড়া টি-২১ নামে পাওয়া গেছে আরও একটা গেম। যেটা চালাতো সেলিমের কর্মচারী আখতারুজ্জামান। এই গেমে যে টাকা জমা হতো সেই টাকা নগদ বা চেকের মাধ্যমে জমা হত দুটি ব্যাংকে। সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে অথবা নিজেরা বহন করে বিদেশে নিয়ে যেত। এভাবেই অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন সেলিম প্রধান।’

এনএস/

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি