ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

অনীক মাহমুদ: আমার পথের আলো

ড. রকিবুল হাসান

প্রকাশিত : ২৩:৪৯, ২৯ জুন ২০২০ | আপডেট: ১৫:৫০, ৩০ জুন ২০২০

সব মানুষের সাফল্যের পেছনে কিছু মানুষ থাকেন, সবারই বড় হওয়ার পেছনে কারো না কারো ত্যাগ ও প্রেরণা থাকে-এটি অনস্বীকার্য। কেউ কেউ হয়তো শক্ত করে বলে ফেলেন, ‘আমি একাই বড় হয়েছি’। এই শক্ত কথাটাও কিন্তু শক্ত নয়, সেখানে খাদ আছে। পরিবার-সমাজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি কর্মক্ষেত্রেও এমন কিছু মানুষ থাকেন, যারা আড়ালে আলোর মানুষ। অনীক মাহমুদ আমার জীবনে এরকম একজন আলোর মানুষ। জীবন গড়ার ক্ষেত্রে, জীবন চলার পথে নানারকম সঙ্কটে-সমস্যায়, এমন কী আনন্দ-বেদনায়-তিনি বিশাল আকাশ-মাথার উপর পরম নির্ভরতায়। এ সময়কালে তাঁকে নানাভাবে মূল্যায়ন চলছে-সাহিত্যকর্ম নিয়ে-শিক্ষক হিসেবে-মানুষ হিসেবে এমন কী বন্ধু হিসেবেও। এটা নিশ্চিত, এ রকমভাবে চলতে থাকবে আরো বহুকাল।কারণ তিনি কালের বরপুত্র। তাঁর এ জগতে থাকা না-থাকার উপর তা নির্ভর করবে না। তিনি নিরলস সাধনায় নিজেকে এরকম একটি অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন- যা কঠিনের থেকেও কঠিন। ঢাকা শহরে অবস্থান করে অনেক কম প্রতিভাসম্পন্ন অনেকেই সহজেই তারকালেখক হয়ে ওঠেন সমকালে, দুদিন পরে কর্পূরের বাতাসের মতো তা হারিয়েও যায়। ঢাকার বাইরে বিশেষ করে মফস্বলে অবস্থান করে যারা দেশ ও দেশের বাইরে নিজেদের প্রতিভাদ্যুতি ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হন, সতিকার অর্থেই তারা সাধক-সত্যসাধক। অনীক মাহমুদ এমনই এক সত্যসাধক। 

আমার কাছে অনীক মাহমুদ আমার একজন খাঁটি শিক্ষক। আমাদের অভিভাবক। আমাদের জীবনের প্রতিদিনের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁকে বাদ দিয়ে আমরা আমাদের জীবন ভাবতে পারি না। আমার শরীরে যে রক্তপ্রবাহ আছে, আমার আদর্শ-চেতনায় অনীক মাহমুদ সেভাবেই প্রবাহিত। সেটি অস্বীকার করলে আমি থাকি না। শরীরে রক্ত প্রবাহ না থাকলে যেমন জীবন থাকে না। আমি যতটুকু পথ এসেছি, দৃঢ়তায় যে পথ আমি হাঁটি প্রতিদিন, তার মুলে তিনি- আমাকে শিখিয়েছেন কিভাবে সততা ও আদর্শে মাথা উচু করে থাকতে হয়, অপশক্তি-অপধারা চিরকাল থাকবে-ধূলো ঝড় আসবেই-অন্ধকার নামবে-এসবের ভেতর নিেেজকেই নিজের মতোই মাথা উচু করে রাখতে পারাটাই বড় কথা, এবং সেটিই ব্যক্তিত্ব-তিনি শিখিয়েছেন। আমি তাঁর জ্বালানো সে আলোয় পথ চলি।

অনীক মাহমুদ যেন এদেশের প্রবাহমান এক নদী। বাবা যেমন নদী-মা যেমন নদী। তিনিও তাই। কখনো কখনো তঁর সঙ্গে অভিমানের মেঘও জমে-বৃষ্টি নামে-আবার মুহূর্তেই কী সুন্দর রামধনু আলো সারা আকাশটাকে সুন্দরে সাজিয়ে দেয়, তিনিও তাই।

২. 
বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার প্রথম ক্লাসে অনীক স্যার প্রসঙ্গক্রমে কবি ওমর আলীর কবিতার কথা বলছিলেন, তাঁর ‘এদেশে শ্যামল রঙ রমণীর সুনাম শুনেছি’ একটি অসাধারণ সৃষ্টি। কিন্তু পরবর্তীতে ওমর আলীর কবিতা গুণগতমানে এ কাব্য গ্রন্থটিকে অতিক্রম করতে পারে নি বা সে মানের হচ্ছে না। আমি দাঁড়িয়ে বলেছিলাম, ওমর আলীর ‘ফেরার সময়’ ‘ডাকছে সংসার’ সহ অসংখ্য কাব্যগ্রন্থের নাম উল্লেখ করে বলেছিলাম, স্যার, এসব কাব্য কি তাহলে গুরুত্বহীন! অনীক মাহমুদ কোন উত্তর না দিয়ে শুধু বলেছিলেন, ‘ক্লাস শেষে আমার রুমে এসো।’ আমি খুব ভয় পেয়েছিাম। দুরু দুরু বুকে যখন স্যারের রুমে গেলাম, স্যার বললেন, ‘বাবা, আমি তোমার কথায় খুব খুশি হয়েছি, তুমি যে কবিতা পড় এটা ভালো লেগেছে।’ এরপর স্যার আমাকে সঙ্গে করে সেদিন ক্যাম্পাসে হাঁটতে হাঁটতে কবিতার অনেক গল্প করেছিলেন। মনে আছে হোটেলে নিয়ে গিয়ে মিষ্টি আর সিঙ্গারা খাইয়েছিলেন। অনেক পরে বুঝেছি, ওমর আলীকে নিয়ে স্যার যে মূল্যায়ন করেছিলেন, তা যথার্থ ছিল। আমার ক্ষেত্রে আবেগটা বেশি কাজ করেছিল, কারণ ওমর আলীর ছাত্র ছিলাম। স্যারের প্রিয় ছাত্র ছিলাম। অনীক মাহমুদ প্রথম ক্লাসেই আমার কাছে ওমর আলীর জায়গাটি করে নেবেন, এও তো সম্ভব নয়। ফলে আবেগের একটা সুন্দর ভুল হয়ে গিয়েছিল আমার। ‘সুন্দর ভুল’এ কারণে বলছি, এই ভুলটি আমি না করলে হয়তো অনীক মাহমুদের মতো বিখ্যাত এই শিক্ষকের বিশেষ দৃষ্টি আমি কাড়তে পারতাম না। তিনি জানতেন আমি ঔপন্যাসিক আকবর হোসেনের গ্রামের ছেলে। তিনি বললেন, ‘আমাদের দেশে আকবর হোসেনকে মূল্যায়ন করা হলো না। মুসলিম লেখকদের উপন্যাস ‘বিষাদ-সিন্ধু’,  ‘আনোয়ারা’র পরে তো ‘অবাঞ্ছিত’ই সবচেয়ে  জনপ্রিয় উপন্যাস।’ বাবা, তুমি এক কাজ কর, আকবর হোসেনকে নিয়ে তুমি আমার কাছে এমএ পর্যায়ে থিসিস কর। উনি ‘অবাঞ্ছিত’র মতো উপন্যাসের লেখক। আমি তো অবাক, কারণ থিসিস করার প্রথম প্রেরণা পাই মিলির কাছ থেকে, তখন আমরা একসঙ্গে পড়তাম। ভালো বন্ধু ছিলাম। তিনিই আমাকে প্রথম থিসিস করার কথা বলেছিলাম। তার এ উৎসাহ ও প্রেরণায় আমি তো অন্য শিক্ষকদের কাছে থিসিসের প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলাম। তাঁরা তো আকবর হোসেনের নাম শুনে থিসিস করাতে সম্মত হননি; বলেছেন, আরো অনেক লেখক থাকতে আকবর হোসেন কেন? তোমার বাড়ির পাশে মীর মশাররফ হোসেন, লালন শাহ, কাঙাল হরিনাথ আছেন। এঁদের নিয়ে কর।’ আমি মন খারাপ করে কথাটা আর কাউকে বলিনি। আবার থিসিস করাও দরকার। মিলি নিজে থিসিস করার কথা বলেছে। আবার মেধাবী ছাত্র হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করার একটা ব্যাপার থেকে যায়। কারণ বিভাগের মেধাবী ছাত্রদেরই থিসিস করার অনুমতি দেয়া হয়। মেধাবী ছাত্র হিসেবে থিসিস করার যোগ্যতা আমার আছে, তারপর আবার আমি লেখালেখি করি। থিসিস করবো না তা তো হয় না। অমার ইচ্ছে ছিল ঔপন্যাসিক আকবর হোসেনের সাহিত্যকর্ম নিয়ে থিসিস করবো। অনীক মাহমুদ কিভাবে বুঝলেন আমার মনের কথা! তিনি কি ঈশ্বর না দেবতা! জানি না। তবে তিনি যে ছাত্রকে পুরোপুরি পড়তে পরেন, সেদিনই তা বুঝেছিলাম। ঔপন্যাসিক আকবর হোসেনের সাহিত্যকর্ম নিয়ে তিনি আমাকে থিসিস করার সময় বলেছিলেন, ‘কাজটি এমনভাবে করবে, যেন কাজটি এমফিল পর্যায়ের হয়।’ আমি সেভাবে করার চেষ্টা করেছিলাম। কতোটুকু পেরেছিলাম, জানি না। তবে স্যার খুশি হয়েছিলেন। পরবর্তীতে থিসিসটি ‘আকবর হোসেনের কথাসাহিত্য: রূপলোক ও শিল্পসিদ্ধি’ গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। পরবর্তীতে স্যার আমাকে পিএইচডি করিয়েছেন ।বিষয় ছিল ‘বাংলা জনপ্রিয় উপন্যাসের ধারা’।  স্যার বলেছিলেন, এ ধরণের কাজ বাংলাদেশ বা কলকাতাতে এই প্রথম। এটিও পরবর্তীতে গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে পঠিত হয়। গ্রন্থটি অনীক মাহমুদ স্যার এবং স্যার স্ত্রী গল্পকার ও অধ্যাপক মাসুমা খানমকে উৎসর্গ করতে পেরে নিজের কাছে একটা ভালো লাগা কাজ করে। কারণ এত বড় মাপের একজন মানুষকে কোন কিছু দেবার ক্ষমতা আমার নেই। শুধু তাঁর কাছ থেকে নিয়েছি দুহাত ভরে। আমি আমার ‘পথে যেতে যেতে’ প্রবন্ধ গ্রন্থে ‘অনীক মাহমুদ: হৃদয় বৎসল এক গল্প’ লিখেছি। জানি, স্যারকে নিয়ে আমার কোন কিছু লেখা কঠিন। এই সীমাবদ্ধতা জেনেও স্যারকে নিয়ে এই প্রবন্ধটি লিখেছিলাম। আজো জানি না, স্যারের ভালো লেগেছিল কিনা। জানতে চাওয়ার সাহস হয় নি।

৩.
বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, অনীক মাহমুদ স্যার তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ আমাকে উৎসর্গ করেছেন। কোথাকার কোন আনকোরা এক ছাত্রকে তিনি কাব্যগ্রন্থ উৎসর্গ করেছেন! আমার এখনো বিশ্বাস হতে চাই না। আমি স্যারের উৎসর্গ করা পৃষ্ঠাটি বারবার পড়ি, সত্যি আমি তো ! আমাকে স্যার বই উৎসর্গ করেছেন!  না অন্য কোন রকিবুল হাসান! আমার ঘোর কিছুতেই কাটে না। এ কথা সত্য নগন্য এই আমাকে অনেকেই ভালোবেসে গ্রন্থ উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু অনীক মাহমুদ যিনি দাপুটে শিক্ষক, দেশের খ্যাতিমান লেখক, যাঁর একটু স্নেহধন্য হবার স্বপ্ন হাজারো শিক্ষার্থীর, তিনি আমাকে বই উৎসর্গ করেছেন। আমার জীবনে এ এক শ্রেষ্ঠ প্রাপ্তি। শুধু তাই নয়, তিনি কত বড় মাপের মানুষ হলে আমার মতো একজন নগন্য ছাত্রের গ্রন্থ নিয়ে লিখতে পারেন! শিক্ষক তো কতোজনই হন, লেখকও তো কতোজনই হন, কিন্তু অনীক মাহমুদ কয়জন হন! অনীক মাহমুদ একজনই। যিনি আমার কাছে বিস্ময়ের চেয়েও বিস্ময়।

৪.
যে কথাটি না বললে, আমার কোন কিছুই যেন বলা হয় না। আমার একটা রাজকন্যা আছে। নাম কাব্য। স্যারের বিহাসের বাড়ির নাম ‘কাব্যশ্রী’। স্যারকে একদিন মজা করে বলেছিলাম, ‘বাড়ির নামটা কাব্যর নামেই করলেন। স্যার সুন্দর একটা হাসি দিয়েছিলেন। মানেটা এরকম, হ্যাঁ তোমার কাব্যর নামই দিলাম। স্যার কাব্যকে অবিশ্বাস্যরকম আদর করেন। স্নেহ করেন। কাব্যকে রীতিমতো গল্প লিখেছেন। দৈনিক সংবাদে ছেপেছেন। গল্পগ্রন্থেও আছে। কতোটা ভালোবাসলে এতোটা হয়-একজন মানুষ কতোটা শিশির স্নাত স্নেহশীল  হলে এমনটি করা যায়, এ হিসাব মেলানো দুষ্কর।

আমার পিএইচডির মৌখিক পরীক্ষা শেষে যখন স্যারের বাসায় এলাম,সাক্ষাৎ শেষে ঢাকায় ফেরার জন্য বেরুবো, তখন স্যার তাঁর ফুলের বাগান থেকে একগুচ্ছ লাল গোলাপ তুলে আমার হাতে দিয়ে বললেন, ‘কাব্যকে দিবে।’ আমি অবাক হয়ে স্যারের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমি ভাবছিলাম, উনি কি মানুষ না অন্য কিছু! কারণটা হলো, রাতে কাব্য আমাকে মোবাইলে বলেছে, ‘বাবা, তোমার স্যারের বাগান থেকে আমার জন্য গোলাপ আনবা।’ আমি এ কথা স্যারকে জানাইনি। তাহলে তিনি এটা জানলেন কিভাবে! এর উত্তর আজো আমি জানি না। পরবর্তীতে এটা নিয়ে আমি কবিতা লিখেছিলাম ‘বাবা, আমার জন্য গোলাপ এনো’। স্যার তাঁর ‘সুবর্ণ সমিধ-এ কবিতাটি ছেপেছিলেন।

শেষে মিলির কথা একটু বলি। মিলি আমার স্ত্রী-আমার বন্ধু। মিলি একটু অসুস্থ হলে স্যার যে কতোবার ফোন করেন, কতোভাবে যে খোঁজ নেন, কতোরকমের যে নিয়মকানুন মেনে চলার উপদেশ দেন-পরিবারের কতোটা আপনজন এমনটা করে ভাবা যায়। একজন শিক্ষক কতোটা উদার শিক্ষক হলে একজন আনকোরা ছাত্রকে, তার পরিবারকে বুকের ভেতর আপনবসতি করে রাখতে পারেন, তা আমাদের বোধের ভেতরও হয়তো আসে না।

৫.
বেশ কয়েক বছর আগে হিসাব করে বললে প্রায় আট বছর আগে -আমাদের পরম শ্রদ্ধাভাজন দেশের বিশিষ্ট শিল্পোদ্যোক্তা এএসএম কামাল উদ্দিন তাঁর বাগানবাড়িতে (নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে) অনীক মাহমুদ স্যার, অধ্যাপক রাশিদ আসকারী (বর্তমানে উপাচার্য, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়) এবং আমাকে নিয়ে গিয়েছিলেন । সেখানে বহু রকমের গাছ আছে। স্যারের যেন সব গাছই চেনা। সব গাছের নাম জানেন কোন গছের কী গুণ তাও অকপটে বলে যাচ্ছিলেন। অবাক হয়েছিলাম সবাই। সেখান থেকে শ্রদ্ধেয় এএসএম কামাল উদ্দিন অনীক স্যারদের নিয়ে মিরপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেনে গিয়েছিলেন। বোটানিক্যাল গার্ডেনে পথের পাশে বসে থাকা ভিক্ষুকদের তিনি একের পর এক টাকা দিচ্ছিলেন, এটা নিয়ে আসকারী স্যার আর আমি বেশ মজা করছিলাম। স্যার বুঝতে পেরে বললেন, ‘বাবারে ওরা গরিব মানুষ।’ পরে কামাল ভাইয়ের গুলশানের বাসায় রাতে খাবার টেবিলে বসে এসব নিয়ে বেশ আনন্দ করেছিলাম। অনীক মাহমুদ স্যার ফেরার পথে বলেছিলেন, ‘বাবারে, আজ আমার একটা ধারণা পাল্টে গেলো। আমি জানতাম লেখাপড়া শুধু আমরাই করি। কিন্তু শিল্পপতি মানুষ, তারা বোধহয় শুধু টাকা-পয়সাই চেনে, কিন্তু  কামাল ভাইয়ের সাথে কথা বলে আমার সে ধারণাই তো ভুল হয়ে গেলো। কামাল ভাই যে এতো পড়ালেখা করেন, ইনি তো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরর পড়াতে পারবেন।’ তাঁর এই মূল্যায়নেই বোঝা যায় অনীক মহমুদ গুণীদের কতোটা সম্মান করতে জানেন। 

৬.
অনীক মাহমুদ আমার পথের আলো। তাঁর আলোতেই পথ চলি-তাঁর আলোতেই এতোটা পথ এসেছি।

(ড. রকিবুল হাসান: কবি-কথাশিল্পী-প্রাবন্ধিক। চেয়ারম্যান, বাংলা বিভাগ, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ)

আরকে//
 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি