ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪

অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরার সময় বাড়ালো সৌদি আরব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:১৪, ৩০ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৯:০৩, ১ জুলাই ২০১৭

সাধারণ ক্ষমার আওতায় সৌদি আরবে বসবাসকারী অবৈধ অভিবাসীদের দেশে ফেরার সুযোগ আরও একমাস বাড়ানো হয়েছে।  গত ২৫ জুন থেকে সময়সীমা একসাম বাড়ানো হচ্ছে বলে সৌদি প্রেস এজেন্সির এক খবরে বলা হয়েছে।

‘এ নেশন উইদাউট ভায়োলেটরস’ কর্মসূচির আওতায় এই সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হয়েছে বলে দেশটির ডিরেক্টরেট জেনারেল অব পাসপোর্ট মেজর জেনারেল সুলাইমান বিন আবদুল আজিজ আল-ইয়াহইয়া জানিয়েছেন। যারা এখনও এই সুযোগ নেননি কিংবা আউট পাস ও এক্সিট ভিসা নেওয়ার পরও সৌদিতে আছেন, তাদের ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে সৌদি আরব ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

এর আগে সৌদি আরবের অভিবাসন (জাওয়াযাত) কর্তৃপক্ষ ২৪ জুন (২৯ রমজান) শনিবারের মধ্যে  অবৈধ অভিবাসীদের বিনা শাস্তিতে দেশে ফেরার তাগিদ দিয়েছিল। না হলে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে জেল, জরিমানাসহ নানা কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়।

জানা গেছে, অবৈধ অভিবাসীদের তালিকায় থাকা কয়েক লাখ প্রবাসীর মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি।

বসবাসের অনুমতি (ইকামা) ছাড়াই অবস্থান, অনুমতি ছাড়া কাজ করা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে গত ২৯ মার্চ থেকে তিন মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ইতোমধ্যে পাঁচ লাখের বেশি অবৈধ অভিবাসী সাধারণ ক্ষমার সুযোগে সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমের তথ্য। 

আর সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, বৈধ কাগজপত্রহীন ১৯ হাজার ৮৩৩ বাংলাদেশি ইতোমধ্যে সাধারণ ক্ষমার সুযোগে দেশে ফিরেছেন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আউট পাস ও এক্সিট ভিসা সংগ্রহ করে দেশে ফেরত না গেলে এক লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা এবং দুই বছর কারাদণ্ড হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে সৌদি অভিবাসন দপ্তর।

সৌদি আরবের অভিবাসন নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অবৈধ অভিবাসী ধরা পড়লে তাকে জরিমানা বা শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়। দেশে ফেরত পাঠানোর আগে তার আঙুলের ছাপ রেখে দেওয়া হয়, যাতে ওই ব্যক্তি ভবিষ্যতে আর সৌদি আরবে কাজের জন্য আসতে না পারেন। তবে সাধারণ ধারণ ক্ষমার সুযোগ যারা নেবেন, তাদের কোনো শাস্তি ছাড়াই দেশে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে। তাদের আঙুলের ছাপও নেওয়া হবে না।  ফলে ভবিষ্যতে কাজ নিয়ে বৈধভাবে সৌদি আরবে আসার সুযোগ থাকবে তাদের।

দুই বছর আগে সৌদি সরকার ইকামা পরিবর্তনের যে সুযোগ দিয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় এই ‘এ নেশন উইদাউট ভায়োলেটরস’ কর্মসূচি।

প্রায় ২৫ লাখ অবৈধ অভিবাসী ও অবৈধ শ্রমিক আগের ওই সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছিলেন, যাদের মধ্যে বাংলাদেশিও ছিলেন। 

সৌদি গেজেটের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৩ লাখ বাংলাদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় কাজ করছেন, যার মধ্যে ৬০ হাজার নারী কাজ করছেন গৃহকর্মী হিসেবে। মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি