ঢাকা, শুক্রবার   ০২ মে ২০২৫

অস্ত্রবিরতি শেষ হচ্ছে, আলোচনায় রাজি আরসা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২৫, ৭ অক্টোবর ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

ঘোষিত এক মাসের অস্ত্রবিরতি দুই দিন পরই শেষ হচ্ছে। এ প্রেক্ষাপটে সরকার যদি চায় তবে দ্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) শান্তি আলোচনায় বসবে। আজ শনিবার আরসা এ কথা জানিয়েছে বলে এএফপি’র এ খবরে জানানো হয়েছে।

এক টুইটার বার্তায় দেওয়া বিবৃতিতে আরসা জানিয়েছে, আগামী সোমবার মধ্যরাত থেকে তাদের এক পাক্ষিক যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হবে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘আরাকানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের সুযোগ দিতে মানবিক বিবেচনায় তারা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা করেছিল। যেকোনো পর্যায়েই বার্মা সরকার যদি শান্তি চায়, তবে আরসা তাকে স্বাগত জানায়।’

তবে বিবৃতিতে নতুন করে সহিংসতা চালানোর কোনো সরাসরি হুমকি দেয়নি আরসা।

বিবৃতিতে আরসা জানায়, তারা শরণার্থীদের বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার জন্য ‘নিরাপদ পথ’ দেখিয়ে সহায়তা করেছে।

গত ২৪ আগস্ট রাতে আরসা রাখাইনে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় বলে দাবি করেছে। এরপর থেকে বিদ্রোহী দমনের নামে রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী নৃসংশতা শুরু করে। প্রতিশোধ হিসেবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন শুরু করে। ওই দিন থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।

রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো অভিযোগ,  বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের সহায়তায় সেনাবাহিনী রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে সেনাবাহিনী এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বৈশ্বিক সমর্থন আদায়ে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এ প্রেক্ষাপটে সহিংসতার প্রকৃত চিত্র দেখার জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থার প্রতিনিধরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে চায়। কিন্তু মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ তাতে সম্মতি দেয়নি। ফলে এই সাম্প্রদায়িক এই রক্তপাতের জন্য কারা দায়ী, তা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। রাখাইনের যেসব এলাকায় এখনো রোহিঙ্গারা অবস্থান করছে, সেসব এলাকায় সাহায্য সংস্থাগুলো যেতে পারছে না।

ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি