ঢাকা, শুক্রবার   ১০ মে ২০২৪

আজ সোহরাওয়ার্দী’র ১২৬তম জন্মবার্ষিকী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৫, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৪৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’ খ্যাত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ১২৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৮২ সালের এই দিনে (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা জহিদ সোহরাওয়ার্দী এবং মা খুজাস্তা আখতার বানু। তাঁর বাবা ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের নামকরা বিচারক এবং মা ছিলেন বিখ্যাত উর্দু সাহিত্যিক। তাঁর দাদা আব্দুল্লাহ সোহরাওয়ার্দী ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ। তিনি ছিলেন পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র। গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তাই সুধী সমাজ কর্তৃক `গণতন্ত্রের মানসপুত্র` বলে আখ্যায়িত হন তিনি।

সোহরাওয়ার্দী পরিবারে উর্দু ভাষার চর্চা হলেও হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাংলা ভাষার চর্চা করেন। কলকাতার ঐতিহ্যবাহী আলিয়া মাদ্রাসায় তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এরপর সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। মায়ের অনুরোধে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯১৩ সালে লন্ডনে যান এবং সেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক অর্জন করেন। ১৯১৮ সালে ‘বার এট ল’ করেন এবং ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে এসে আইন পেশায় নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯২০ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আব্দুর রহিমের কন্যা বেগম নেওয়াজ ফাতেমাকে তিনি বিয়ে করেন।

১৯২৪ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাসের ‘স্বরাজ পার্টি’তে যোগদানের মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। ১৯২৩ সালের ‘বেঙ্গল প্যাক্ট’ স্বাক্ষরে তাঁর ভূমিকা ছিল অনন্য। এরপর ১৯২৪ সালেই তিনি কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র নির্বাচিত হন। ১৯৩৬ সালে তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত হন। ১৯৪৩ সালে খাজা নাজিমউদ্দীনের মন্ত্রীসভায় তিনি শ্রম ও পৌর সরবরাহ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৪৬ এর নির্বাচনে মুসলিম লীগ জয়লাভ করলে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হন। দেশভাগের পর ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত তিনি কলকাতায় থাকলেও তাঁর উপর ভারত সরকার অতিরিক্ত কর আরোপ করলে এরপর তিনি পাকিস্তানে চলে আসেন। ১৯৫৩ সালে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক এবং মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর সাথে একত্রে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন। ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এই আইনবীদ। ওই বছরই তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তবে ১৯৫৮ সালে ইস্কান্দার মির্জা সামরিক শাসন জারি করলে তিনি পদচ্যুত হন। তাঁর হাত ধরেই রাজনীতিতে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫৯ সালে তাকে পাকিস্তানের রাজনীতি থেকে জোরপূর্বক নিষিদ্ধ করা হয়।

স্বাস্থ্যগত কারণে ১৯৬৩ সালে তিনি দেশের বাইরে যান। সেবছরের ডিসেম্বরেই লেবাননের রাজধানী বৈরুতে নিজ হোটেল কক্ষে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যু নিয়েও আছে রহস্য।

এসএইচ/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি