ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

আতিকুল হক চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত : ১৪:১২, ১৭ জুন ২০১৯

টেলিভিশন নাটকের প্রাণপুরুষ আতিকুল হক চৌধুরীর ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৩ সালের এই দিনে তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন।

ষাটের দশকের গোড়ায় প্রথমে বেতার ও পরবর্তীতে ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান টেলিভিশনে যোগদান করেন আতিকুল হক চৌধুরী। ষাটের দশকে বেতারে তার প্রযোজিত নাটকের সংখ্যা শতাধিক।

আতিকুল হক চৌধুরী বাংলাদেশের প্রখ্যাত নাট্যকার, পরিচালক, শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বিটিভির সেরা প্রযোজকসহ অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন।

আতিকুল হক চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি বরিশাল জেলার উলানীয় জমিদার বাড়িতে। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ভোলায় তাঁর নানা বাড়িতে। আতিকুল হক চৌধুরীর স্ত্রীর নাম জোহরা বেগম। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে।

১৯৬০ সালে রেডিও পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে যোগ দেন । বাংলাদেশ টেলিভিশনে সর্বশেষ তিনি উপমহাপরিচালক ছিলেন। এরপর তিনি বেসরকারি একুশে টেলিভিশনের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন।

১৯৯০ সালে বিটিভি থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৯১ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে এক দশক অধ্যাপনা করেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় এক দশক অধ্যাপনাকালীন আতিকুল হক চৌধুরী তরুণ-তরুণীদের নাট্যকলা বিষয়ে হাতে-কলমে পাঠ ও শিক্ষা দেন।

তাঁর রচিত নাটকসমূহ গুলো হলো- দুরবিন দিয়ে দেখুন, নীলনকশার সন্ধানে, সুখের উপমা, বাবার কলম কোথায়, জলাশয় কত দূর, বাবার কলম কোথায়, বৃষ্টিবালিকা।

আতিকুল হক চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাঙালিসমগ্র জাদুঘরের উদ্যোগে আজ বিকাল ৫টায় মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থান প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি