ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ জুলাই ২০২৫

আত্মগ্লানিতে ভুগছেন শামীমা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১১:১৫, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

Ekushey Television Ltd.

আইএস এ কেন যোগ দিয়েছিলেন সেটা ভেবেই এখন আত্মগ্লানিতে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম। 

বুধবার বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, প্রায় তিন বছর সিরিয়ায় কাটানো সময়ের কথা মনে পড়লে এখন তার নিজের প্রতিই ঘৃণা হয়। তিনি বলেন সিরিয়ায় থাকা অবস্থাতেই ভুল বুঝতে পেরেছিলেন তিনি, তবে তখন তা প্রকাশ করার মত অবস্থায় ছিলেন না। 

শামীমা জানান, লণ্ডন থেকে তারা তিন বান্ধবী সিরিয়ায় যাওয়ার পর, মাত্র ১৫ বছর বয়সে নেদারল্যান্ডের এক যোদ্ধার সাথে বিয়ে হয় তার। সেখানেই দুটি সন্তানের জন্ম দেন তিনি। সবশেষ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়া শরনার্থী শিবিরে তাকে নয় মাসের গর্ভবর্তী অবস্থায় পাওয়া যায়। জন্মের পর এই শিশুটিও নিউমোনিয়ায় মারা যায়। এসবই জীবনকে আত্মগ্লানিতে ভরিয়ে দিয়েছে বলে জানান শামীমা, বলেন সুযোগ থাকলে সন্ত্রাস দমনে ব্রিটিশ সরকারকে সাহায্য করবেন। 

সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে, আইএস যোদ্ধাদের আত্মঘাতি বোমা হামলায় সাহায্য করার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি, এজন্য প্রয়োজনে কাঠগড়ায় দাঁড়াতেও প্রস্তুত বলে জানান তিনি।  

২০১৯ সালে শামীমাকে খুঁজে পাওয়ার পর নিরাপত্তার স্বার্থে তার নাগরিকত্ব বাতিল করেছিল ব্রিটিশ সরকার। এখন ব্রিটিশ সরকারের কাছে ক্ষমা চেয়ে ব্রিটেনে ফেরার সুযোগ চান বলে সাক্ষাৎকারে জানান শামীমা। বলেন, জঙ্গিরা কীভাবে কাজ করে তা নিজ অভিজ্ঞতা থেকে ব্রিটিশ সরকারকে জানাতে চান, যা জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সাহায্য করবে। 

এদিকে আইএস থেকে ফেরার পর হিজাব ছেড়েছেন শামীমা, পরিবর্তন এসেছে তার সাজ পোশাকেও। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারেও তাকে দেখা যায় পশ্চিমা পোশাকে। যদিও তার বাহ্যিক এবং মানসিক এই পরিবর্তনকে বিশ্বাস করছেন না  অনেকেই। 
সূত্র : বিবিসি
এসবি/ এসএ/


 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি