ঢাকা, রবিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৫

আবারো বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:১৭, ২০ মে ২০১৭ | আপডেট: ১২:৫২, ২০ মে ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

যন্ত্রের বদলে হাতে পাথর তোলা যাবে; উচ্চ আদালতের এমন অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ অমান্য করেই আবারো বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন চালিয়ে যাচ্ছে, প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। টাক্সফোর্সের অভিযানেও তেমন সুফল মিলছে না। নিত্যনতুন কৌশলে, পাথর তোলা হচ্ছে। অবস্থার পরিবর্তনে, রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন বলেই, মনে করছেন পরিবেশবাদী সংগঠনের প্রতিনিধি ও গবেষকরা।
মেঘালয়ের কোল ঘেঁষে, সীমান্তে ভারতের সারি সারি সবুজ পাহাড়-টিলা, পাহাড়ি ঝর্ণা মোহিত করে এপারের মানুষকে।
কিন্তু এই সীমান্তেই বাংলাদেশের, শাহ আরিফিন টিলার এমন করুণ দশা। অব্যহতভাবে যন্ত্র দিয়ে পাথর তোলায়, উচ্চতা যেমন কমেছে, গর্তও হয়েছে, তারও বেশি। আর অবশিষ্ট নেই জীববৈচিত্র্যও।
নয়নাভিরাম, সিলেটের জাফলংকে, ইকোলজিক্যালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া বা ইসিএ ঘোষণা করার পরও, বদলায়নি পরিস্থিতি। বদলেছে কিছু দৃশ্য, কাজের কৌশল। সরেনি, পাথর ক্রাসিং মেশিন; দৃষ্টিসীমার দূরে, চলছে পাথরের কোয়ারী। এখন, কাজ দিনেও হয়, রাতেও হয়। নতুন দৃষ্টি পড়েছে, কৃষি জমি ও লোকালয়ের দিকেও।
খবর সংগ্রহ করা কিংবা ছবি সংগ্রহ করাও নিরাপদ নয় এসব এলাকায়। থাকে প্রলোভন ও ম্যানেজ করার চেষ্টা। পাথর খেকোদের, যত অভিযোগ পরিবেশ বাদীদের বিরুদ্ধে।
নদীর অন্যপ্রান্তে আয়োজন আরো বড়। বিভিন্ন অংশ খুলে রাখা যায় এবং রাতে লুকোচুরি করে কাজ করা যায়, এমন বোমা মেশিনের সংস্করণ দিয়ে কাজ চলছে এখানে।
অপকর্ম থামাতে ট্রাস্কফোর্সের অভিযানও চলে। বিভিন্ন সময় পুড়িয়েও দেয়া হয়েছে, বোমা মেশিন। তবে স্বয়ং ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশ আমলে নেয়া হয় না কখনও- কখনোও। কাজ চলে অদৃশ্য নিয়ন্ত্রকের ইশারায়।
গবেষকরা বলছেন, মাটি ক্ষয়, ভূমি ধ্বস, অবৈজ্ঞানিকভাবে মাত্রাতিরিক্ত খনিজ সম্পদ আহোরণ, সবুজ বেস্টনীকে উজার করাসহ ধ্বংস লীলায় বিরূপ প্রভাবও পড়তে শুরু হয়েছে। এরইমধ্যে, প্রায়শই সিলেট অঞ্চল সহ সারাদেশে প্রায়শই মুদু ভূকম্পনের ঘটনা ঘটছে। অবস্থার পরবর্তনে এখনি পদক্ষেপ নেয়ার  পরামর্শও দিয়েছেন তারা।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি