ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ জুলাই ২০২৫

আমার সন্তান বাড়ির পরিবেশ বদলে দিয়েছে : কোয়েল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:০৮, ১২ অক্টোবর ২০২০

Ekushey Television Ltd.

সম্প্রতি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছেন অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক। এর আগে পুরো পরিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব বিপদ কেটে গেছে। এক দিকে মা হওয়ার আনন্দ, অন্যদিকে পুরো পরিবার করোনায় আক্রান্ত হওয়া, ভালো-খারাপের দোলাচলের মধ্য দিয়ে গেছে অভিনেত্রীর দিন। এক সাক্ষাৎকারে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।

করোনা জয় ও সন্তানের মা হওয়ার অনুভূতি নিয়ে কোয়েল মল্লিক বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জীবনের সেরা সময়, তাই তাকে খারাপ বলতে পারব না। মা হওয়ার মুগ্ধতাটা অনেক বেশি ছিল। কিছুটা সময় খুবই চিন্তায় কেটেছে। আমরা ভাবতেও পারিনি যে, এ রকম কিছু হতে পারে। তবুও এ সবের মধ্যে আমার সন্তান বাড়ির পরিবেশ বদলে দিয়েছে। বাড়িতেই কোয়রান্টিনে ছিলাম আমরা। রানের (নিসপাল সিংহ) সঙ্গে আমার এক ঘরে থাকাও বারণ ছিল। ওর যখন ছেলেকে দেখতে ইচ্ছে করত, তখন আমি বারান্দার একদিকে ছেলেকে কোলে নিয়ে দাঁড়াতাম। ও অন্য প্রান্ত থেকে দেখত। আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী, সেটাই আমাকে বিপদে শক্তি দেয়।’

প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে নিজেই সুখবর জানিয়েছিলেন কোয়েল। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে সপ্তম বিবাহবার্ষিকীতে স্বামী নেসপাল সিং রানের সঙ্গে কোয়েল মল্লিক নিজের একটি ছবি দিয়ে তৈরি পোস্টকার্ডের মাধ্যমেই জানালেন অন্তঃসত্ত্বা তিনি। কোয়েল লিখেছেন, ‘আমার মধ্যে এক নতুন জীবনের হৃৎস্পন্দন শুনতে পাচ্ছি। আমাদের সন্তানের অপেক্ষায় রয়েছি। এই গ্রীষ্মেই সে আসতে চলেছে।’

২০১৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাঞ্জাবের ছেলে নেসপাল সিং রানের সঙ্গে বিয়ে হয় কোয়েল মল্লিকের। নেসপাল ভারতের বাংলা সিনেমা প্রযোজক। পারিবারিকভাবে কলকাতায় থাকেন অনেক বছর ধরে। কোয়েল ও নেসপালের বিয়ে সে সময়ে টালিউডের আলোচিত ঘটনা ছিল। বাঙালি ও পাঞ্জাবি—দুভাবেই কোয়েলের বিয়ে হয়েছিল। বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল পাঁচ দিনের। আশীর্বাদ, সংগীত, গায়েহলুদ, বিয়ে, বউভাত—সবই ছিল। বিয়ের পর টালিউড ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে খানিকটা গুটিয়ে নিয়ে সংসারে মন দেন এই তারকা।

ভারতের গুণী অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিকের মেয়ে কোয়েল মল্লিক বাংলা সিনেমার জগতে এসেছেন ২০০৩ সালে। তার প্রথম সিনেমা ছিল হরনাথ চক্রবর্তীর ‘নাটের গুরু’। প্রথম নায়ক জিৎ। প্রথম সিনেমাতেই সুপারহিট ছিলেন কোয়েল। সেই ২০০৩ সাল থেকে টানা ১৩ বছর তিনি বাংলা সিনেমাকে একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে গিয়েছেন। তার অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোর ভেতর ‘বলো না তুমি আমার’, ‘দুই পৃথিবী’, ‘পাগলু’, ‘১০০% লাভ’, ‘হেমলক সোসাইটি’, ‘পাগলু টু’, ‘সাত পাকে বাঁধা’, ‘বলো না তুমি আমার’, ‘জ্যাকপট’, ‘নবাব নন্দিনী’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। বাণিজ্যিক ধারার পাশাপাশি ‘দেবীপক্ষ’ বা ‘হেমলক সোসাইটি’র মতো সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন।
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি