ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৬ মে ২০২৫

ভাতা না পাওয়ায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

আমি বেঁচে আছি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:২৪, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ব্রাজিলের অবসর ভাতা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট মাইকেল তেমারের ভাতা বন্ধ করে দেয়। ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকটা অবাক হয়ে তেমার বলেন, ‘আমি বেঁচে আছি।’

গত নভেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো অবসর ভাতা বন্ধ হয়ে যায় ৭৭ বছর বয়সী এই নেতার। ডিসেম্বরেও ভাতা পাননি তেমার। কর্তৃপক্ষ বলেছে, মাইকেল তেমারের বেঁচে থাকার তথ্য তাদের কাছে নেই। তাই প্রেসিডেন্টের ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে নিরবচ্ছিন্নভাবে অবসর ভাতা পেতে হলে প্রতিবছর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এই সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় নথিপত্রসহ সশরীরে কর্তৃপক্ষের সামনে হাজির হতে হয়। কিন্তু এর ব্যত্যয় ঘটলে কর্তৃপক্ষ ধরে নেয়, অবসর ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিটি আর বেঁচে নেই। তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হলে জীবিত ব্যক্তিকেও মৃত ধরে নেয় কর্তৃপক্ষ। তেমার সশরীরে হাজির হতে না পারায় তাঁর ক্ষেত্রেও এমনটিই ঘটেছে।

ব্রাজিলের টেলিভিশন নেটওয়ার্ক রেডেটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট তেমার বলে, আমার ক্ষেত্রে জীবিত থাকার প্রমাণ সুস্পষ্ট। কারণ আমাকে তো প্রতিদিনই দেখা যায়।

এই ত্রুটির জন্য আমলাতন্ত্রকে দায়ী করেন প্রেসিডেন্ট তেমার। তবে কর্তৃপক্ষের নেওয়া পদক্ষেপের পক্ষেও যুক্তি তুলে ধরেন তিনি। তেমার বলেন, ‘আমার ধারণা, সবার প্রতি সমান আচরণের অংশ হিসেবে এমনটা করা হয়েছে। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ নেয় কর্তৃপক্ষ, তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও তাঁর ক্ষেত্রে একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করেন এই প্রেসিডেন্ট।

উল্লেখ্য, ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট দিলমা রুসেফ ২০১৬ সালে অভিশংসিত ও অপসারিত হন। ফলে দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মাইকেল তেমার। এর আগে তেমার দিলমার সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন।

সূত্র: নিউ ভিশন

একে//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি