ঢাকা, শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ডয়েচে ভেলেকে সাক্ষাৎকার

আর প্রধানমন্ত্রিত্ব চাই না: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত : ০০:০২, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ০০:০৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আর প্রধানমন্ত্রী হতে চান না আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি চাইছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটিই যেন তার শেষ মেয়াদ হয়। নতুনদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ সব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করা হয়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক ইনেস পোল ও এশিয়া বিভাগের প্রধান দেবারতি গুহ।

শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমার টানা তৃতীয় মেয়াদ। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী হয়েছি। সব মিলিয়ে চতুর্থবার। আমি আর চাই না। একটা সময়ে এসে সবারই বিরতি নেওয়া উচিৎ। যেন তরুণ প্রজন্মের জন্য জায়গা করে দেওয়া যেতে পেরে।

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গত এক দশকে ব্যাপক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বছরে গড়ে ৬ থেকে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। বাণিজ্য বেড়েছে। বিদেশি বিনিয়োগও এসেছে। এই উন্নয়নের পরও বিশ্বব্যাংকের হিসাবে বলা হচ্ছে, এখনও বাংলাদেশের প্রতি চারজনে একজন দরিদ্র। শেখ হাসিনা তার সম্ভাব্য শেষ মেয়াদে এই দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইকেই অগ্রাধিকার দিতে চান।

সাক্ষাৎকারে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান- এসব মৌলিক চাহিদা। প্রত্যেক মানুষই তার অবস্থার উন্নতি ঘটাতে চায়। আমাদের সেটাই নিশ্চিত করতে হবে।

শেখ হাসিনা তার আওয়ামী লীগবিরোধীদের জন্য রাজনীতির মাঠ সংকুচিত করে রেখেছেন এবং এক দলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েম করতে চাইছেন– এমন অভিযোগ মানতে রাজি নন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, জনগণের ভোটের মাধ্যমেই তো ক্ষমতায় আসা, সেটা একদলীয় হয় কী করে? আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে যে, ২০০৮-এ যে নির্বাচন হয়েছিল, সে নির্বাচনেও ৮৪ ভাগ (আসলে ৮৬.৩৪%) ভোট পড়েছিল। এবার তো ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে। তখন বিএনপি-জামাত জোট পেয়েছিল মাত্র ২৮টি সিট। এবার ইলেকশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৬০টি সিট (৩০০টির মধ্যে)৷ বাকি সব অন্য দলগুলো পেয়েছে। সেখানে দল তো আছেই।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, তার নীতি নারী শিক্ষার ব্যাপারে সাধারণ মানুষের চিন্তাও বদলে দিয়েছে। আগে বাবা মায়েরা চিন্তা করতেন, মেয়েকে পড়িয়ে লাভ কী। সে তো অন্যের ঘরে চলে যাবে৷ এখন সেভাবে চিন্তা করেন না তারা৷ এখন ভাবেন, মেয়েকে শিক্ষিত করা উচিত যেন সে নিজে উপার্জন করতে পারে। এরপর সে বিয়ে করবে। তিনি বলেন, খুব ধীরে ধীরে আমরা পরিবর্তন আনছি। বাল্যবিবাহ এখন অনেক কমে গেছে।

তথ্যসূত্র: ডয়েচে ভেলে।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি