ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

আশুগঞ্জে মৃত্যুর প্রায় ৬ মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৯:২৬, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মৃত্যুর প্রায় ৬ মাস পরে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে নিহত মোরশেদ আলম (৬১) নামে এক বৃদ্ধের লাশ উত্তোলন করেছেন পুলিশ। 

বুধবার দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুর এলাকার একটি কবরস্থান থেকে নিহতের লাশ উত্তোলন করা হয়। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামের বড়তল্লা এলাকার একটি পুকুরের মালিকানায় রয়েছে মুর্শিদ আলমসহ আরো অন্তত ২০ থেকে ২৫ জন। ৫ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার ভোরে মাছ ধরা নিয়ে মোর্শেদ মিয়ার সাথে একই এলাকার ও পুকুর ইজারা নেয়া আজাদ, কামাল ও নুরু মিয়ার সাথে তর্কে লিপ্ত হয় মোরশেদ আলম। এসময় হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন তিনি। পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে বাজিতপুর জহিরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ ঘটনার ১১ দিন পরে নিহতের স্ত্রী নাছমিকা বাদি হয়ে একই এলাকার প্রতিবেশি হাজি কুতুব মিয়াকে প্রধান করে ৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৬/৭জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ১৬ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে একটি মামলা জমা দেন। আদালত মামলাটি প্রথমে পুলিশকে দিলে পুলিশ সব রকমের তথ্য উপাত্ত না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আদালত সিডিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেন। এরই ধারাবাহিকতায় লাশের ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে লাশটি তুলতে আবেদন করা হয় সিআইডির পক্ষ থেকে। 

আদালত ১৯ ফেব্রুয়ারি লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য তুলতে আদেশ দেন। পরে আদালতের নির্দেশে বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য, সিআইডি ও পুলিশের সামনে কবর থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য জানান, আদালতের নির্দেশে মোরশেদ আলমের লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কেআই/এসি

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি