আসতে দেখেই কলেমা পাঠ, প্রাণে বেঁচে যান অধ্যাপক দেবাশিস
প্রকাশিত : ১৬:১২, ২৬ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৬:১৭, ২৬ এপ্রিল ২০২৫

ভারতের অসম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার অধ্যাপক দেবাশিস। কয়েক দিন ধরে কাশ্মীর উপত্যকায় পরিবারের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই ঘটেছে এমন মর্মান্তিক ঘটনা। বন্দুকধারীদের বন্দুকের সামনে পড়েও বেঁচে গিয়েছেন দেবাশিস।
এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, যে সময়ে গুলি চলেছিল সেই সময়ে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাৎ দেখেন, চার পাশের লোকজন কলমা (কলেমা) পড়ছেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনিও উঠে বসে কলমা পড়তে শুরু করেন।
দেবাশিসের ধারণা, সেই কলমাই তাঁকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘‘পাশের গাছের তলায় দাঁড়িয়ে অনেকে বিড়বিড় করে কলমা পড়ছিলেন। আমি তাঁদের দেখাদেখি সহজাতভাবেই কলমা পড়তে শুরু করি। কিছুক্ষণের মধ্যে একজন আমাদের দিকে এগিয়ে আসে। আমার পাশে যিনি ছিলেন, সরাসরি তাঁর মাথায় গুলি করে। এরপর তার দিকে তাকায় সেই বন্দুকধারী।”
তাঁর কথায়, ‘‘সোজাসুজি আমার দিকে তাকিয়ে ও জিজ্ঞেস করল, ‘কী করছ?’ আমি তখন আরও জোরে জোরে কলমা পড়তে শুরু করে দিয়েছিলাম। আমি জানি না, কী ভেবে আমি এটা করলাম। এর পর ওই বন্দুকধারী মুখ ফিরিয়ে চলে গেল।’’
দেবাশিস জানিয়েছেন, বন্দুকধারী চলে যাওয়ার পর পরিবার নিয়ে উল্টো দিকে পাহাড়ি পথে হাঁটা শুরু করেন তিনি। প্রায় দু’ঘণ্টার জন্য ‘ট্রেক’ করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছান। ঘোড়ার পায়ের ছাপ দেখে এই দু’ঘণ্টা হেঁটেছিলেন দেবাশিসেরা। পরে ঘোড়ার পিঠে চড়ে হোটেলে ফেরেন।
দেবাশিস বলেছেন, ‘‘আমি যে এখনও বেঁচে আছি, সেটাই বিশ্বাস হচ্ছে না।’’
নিতান্ত অ্যাকাডেমিক কারণে কিংবা সখেই ইসলামের কলমা পাঠ শিখেছিলেন তিনি। থাকতে পারে কোনও পারিবারিক বা বন্ধুবান্ধবের প্রভাবও। আর সেই শিক্ষাই হয়তো বাঁচিয়ে দিয়েছে তাঁর প্রাণ- এমনই মনে করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পরিচিত কেউ কেউ।
গত মঙ্গলবারের ওই ঘটনায় বন্দুকধারীর গুলিতে ২৬ জনের প্রাণহানি ঘটে।
সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস
এএইচ
আরও পড়ুন