ঢাকা, শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪

ইতিহাসের সবচেয়ে অশ্রুভেজা কলঙ্কময় রাত ১৫ আগস্ট: প্রধান বিচারপতি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫২, ১৫ আগস্ট ২০১৮

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেছেন, আজ শোকবহ ১৫ আগস্ট। ইতিহাসের বেদনাবিধূর ও বিভীষিকাময় এক দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে পরিবার-পরিজনসহ নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। এটি ছিল স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অশ্রুভেজা কলঙ্কময় রাত।

আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের বর্ধিত ভবন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, জাতির পিতা যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের দায়িত্ব হবে সে লক্ষ্যে কাজ করে জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ করা। তাহলেই তাঁর বিদেহী আত্মা শান্তি পাবে।

সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, বাঙালি জাতি আজ গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় তার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে স্মরণ করেছে।

এর আগে ভোর সাড়ে ৬টায় প্রধান বিচারপতি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর রোডের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন

প্রধান বিচারপতিসহ সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, আইনজীবী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে পবিত্র কোরআন খতম ও মোনাজাত করা হয়। এসময় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। পরে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি।

এ সময় পবিত্র কোরআন খতম, মোনাজাত ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে সহযোগিতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান প্রধান বিচারপতি।

কর্মসূচিতে সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগের বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি মীর্জা হোসেইন হায়দার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামসহ সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও  আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

/ এআর /


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি