ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪

ইরাকি সংসদে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের প্রস্তাব পাস

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:৪২, ৫ জানুয়ারি ২০২০

ইরাক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল বিদেশি সেনা প্রত্যাহার করতে দেশটির সংসদে একটি প্রস্তাব পাস করেছেন সংসদ সদস্যরা। দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় পাঁচ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে।

রোববার ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বিদেশি সামরিক উপস্থিতি বন্ধ করার আহ্বান জানানোর পর প্রস্তাবটি পাস হয়।

গত শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরে ড্রোন হামলায় শীর্ষ ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার দুই দিনের মাথায় রোববার (৫ জানুয়ারি) এ প্রস্তাব পাস হলো বাগদাদের সংসদে।

মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানি শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলায়মানির মৃত্যুর পর তার মরদেহ ইরানে পাঠানোর আগে হাজার হাজার ইরাকি নিজ দেশে তার জানাজায় অংশ নিয়েছিলেন।

ইরাকের পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‌‌‘ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকার আন্তর্জাতিক জোটের কাছে সহযোগিতা চেয়ে ইরাকে সেনা রাখার যে অনুরোধ করেছিল তা বাতিল করার প্রস্তাব করবে। কেননা ইরাকে সামরিক অভিযান শেষ হওয়ার সঙ্গে জয় (আইএসকে পরাজিত) অর্জিত হয়েছে।’

পার্লামেন্টে পাস হওয়া ওই প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, ‘সরকার অবশ্যই ইরাকের মাটিতে অন্য দেশের সেনা উপস্থিতির অবসান ঘটাতে কাজ করবে এবং যেকোনো কারণে এর ইরাকের ভূমি, আকাসসীমা অথবা জলপথ ব্যবহার করতে দেবে না।’

সংসদের আইন বিষয়ক কমিটির প্রধান আল শিবলি বলেন, ‘ইসলামিক স্টেটকে (আইএস) পরাজিত করার পর মার্কিন সেনাদের এখন আর প্রয়োজন নেই। দেশ রক্ষায় আমাদের সশস্ত্রবাহিনী আছে।’ প্রসঙ্গত, ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার পর ইরাকের অনুরোধে তাদের সেনাদের প্রশিক্ষণ দিতে মার্কিন সেনারা এখনও দেশটিতে রয়েছে।

এদিকে ইরাকের সংসদে বিলটি পাস হওয়ার আগে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইরাকের আন্তর্জাতিক আইএস-বিরোধী সামরিক জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোলেইমান কাসেমির হত্যার পর ইরাকের সামরিক ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্য দেশের সেনাদের সুরক্ষার কথা ভেবে তারা কার্যক্রম পরিচালনা আপাতত বাতিল করেছে।

২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে সামরিক অভিযান শুরু করার পর এখনো দেশটিতে আনুমানিক ৬ হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। যাদের প্রাথমিক কাজ হলো ইরাকের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া এবং ইসলামিক স্টেট বিরোধী অভিযান পরিচালনা। কিন্তু ইরাকে মার্কিন সেনাদের দীর্ঘদিনের এই উপস্থিতি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

ইরাক থেকে মার্কিন সেনাদের সরিয়ে নেয়া দেশটির প্রতিটি নাগরিকের দাবি বলে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা মন্তব্য করেছেন। নিরাপত্তা চুক্তি অনুযায়ী, পরামর্শমূলক কাজে জড়িত থাকার কথা থাকলেও খোদ ইরাকি বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ আছে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ সোলেইমানি হত্যা এ ক্ষোভ উসকে দিয়েছে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি