ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গ
প্রকাশিত : ১০:৪৭, ২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:০৫, ২ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় মানবিক সাহায্য বহনকারী ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এই বহরের অন্তত আটটি নৌযান থামিয়ে ইসরায়েলি বাহিনী। এ সময় আটক করা হয়েছে ২ শতাধিক অধিকারকর্মীকে। যাদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গও রয়েছেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে জানিয়েছে, “হামাস-সুমুদ ফ্লোটিলার বেশ কয়েকটি জাহাজ নিরাপদে থামানো হয়েছে এবং যাত্রীদের ইসরায়েলি বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গ্রেটা ও তার সঙ্গীরা নিরাপদ ও সুস্থ আছেন।
বুধবার (২ অক্টোবর) রাতে ভূমধ্যসাগরে গাজা থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
মন্ত্রণালয় একটি ভিডিওও প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা যায় থুনবার্গকে নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে যাচ্ছে। তবে ফ্লোটিলার সঙ্গে হামাসের সম্পৃক্ততার প্রমাণ এখনো দেয়নি ইসরায়েল।
অন্যদিকে, কর্মী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ আটককে ‘অবৈধ’ এবং ‘সমুদ্র দস্যুতা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
আটক ব্যক্তিদের এখন ইসরায়েলের আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। তবে ইয়ম কিপুর উপলক্ষে সরকারি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রক্রিয়া বিলম্বিত হতে পারে।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক্সে জানায়, ‘সুমুদ ফ্লোটিলার কয়েকটি নৌযান নিরাপদভাবে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের যাত্রীদের বন্দরে নেওয়া হচ্ছে।’
তবে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় ন্যায়ের পক্ষে কথা বলা মানুষদের অপহরণ করা হয়েছে। বহর কোনো আইন ভাঙেনি। অবৈধ হলো ইসরায়েলের জাতিগত নিধন ও গাজা অবরোধ।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে অব্যাহত ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি উপত্যকাটিতে তীব্র খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পাঠানোর একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। বর্তমানে ৪০টির বেশি নৌযান নিয়ে এতে অংশ নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ বিভিন্ন দেশের পার্লামেন্ট সদস্য, আইনজীবী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা।
এটি প্রথম নয়। এর আগে গত জুন ও জুলাই মাসেও গাজাগামী নৌযান আটক করে ইসরায়েল, যার মধ্যে একটিতে গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন।
এএইচ
আরও পড়ুন