ঢাকা, শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪

উদ্যোক্তাদের হাতে সফল চট্টগ্রামের ইস্পাত শিল্প (ভিডিও)

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৫:৪৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১৬:০৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২

চট্টগ্রাম মানেই ভারি শিল্পের অন্যতম কেন্দ্রস্থল। যেখানে লৌহজাত সামগ্রীর ৭০ শতাংশের বেশি উৎপাদন হচ্ছে। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের শিল্পোদ্যাক্তারাই মূলত: নেতৃত্ব দিচ্ছেন এই ইস্পাত শিল্পের। 

চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ১৯৫৭ সালে সরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ার বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা চট্টগ্রাম স্টিল মিলস লিমিটেড। ঢেউটিন, বিলেট ও লোহার প্লেট উৎপাদন অব্যাহত ছিল এখানে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত। ধীরে ধীরে এ ব্যবসার পুরো নিয়ন্ত্রণ চলে যায় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাতে। বিশেষ করে চলাচল অযোগ্য পুরনো জাহাজ আমদানি করে কেটে লোহার স্ক্র্যাপ বাজারজাত হতে থাকায় নতুন গতি পায় এই শিল্প।

বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ড. প্রফেসর সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘‘চট্টগ্রামের যেই ঐতিহ্য, যেই স্টিল মিলের কথা বললাম, সেখানে কিন্তু যাপানের একটা পরিকল্পনা ছিলো এটা একটা স্টিল নগরী হিসেবে গড়ে তুলবে।’’

বাড়বকুণ্ড, সীতাকুণ্ড, ফেনী, পটিয়া, আনোয়ারা, এবং চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকায় বড় বড় কারখানায় চলছে লোহার রড, ঢেউটিনসহ বিভিন্ন লৌহজাত সামগ্রীর উৎপাদন ও সরবরাহ। এসব মিল মালিকদের ভাষায় ‘লং’ হলো রড কারখানা আর ‘ফ্ল্যাট’ হলো ঢেউটিন। মূলত দেশের প্রধান সামুদ্রিক বন্দর চট্টগ্রামে হওয়ায় এই শিল্প স্থাপনে বাড়তি সুবিধা পান এখানকার উদ্যোক্তারা।

এই প্রসঙ্গে কেডিএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম রহমান বলেন, ‘‘পৃথিবীর ইতিহাস দেখবেন ,যত বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান সবগুলো সমুদ্রকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে। সেইজন্য আমাদের বড় ইন্ডাস্ট্রি চট্টগ্রামে হচ্ছে, ভবিষ্যতেও হবে।’’

এখানকার প্রতিটি কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা এক লাখ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৬ লাখ টন পর্যন্ত। বিএসআরএম, একেএস, পিএইচপি, কেএসআরএম, জিপিএইচ ইস্পাত, গোল্ডেন ইস্পাত, এইচ এম স্টিল, কেওয়াই স্টিল, চেমন আরা ইস্পাত, এস আলম স্টিলসহ নামকরা সব প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামে। 

সরকারকে বছরে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব দেন বলে জানান কারখানা মালিকরা। রডসহ যাবতীয় লৌহজাত সামগ্রীর চাহিদা মেটাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ এখন বাংলাদেশ।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘‘ভারতকে আমরা মাথাপিছু জিডিপিতে আমরা হারিয়ে দিয়েছি। যখন এই শিল্পনগরীগুলো পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে, তখন আমরা ভারতের চাইতে অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারবো।’’

এমএম/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি