ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পালাতে বাধ্য হয়েছে: আলী রীয়াজ
প্রকাশিত : ১২:৫৫, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসক পলায়নে বাধ্য হয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, এ ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে।
রোববার জাতীয় সংসদের এলডি হলে গণসংহতি আন্দোলনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সংলাপে এসব কথা বলেন তিনি।
সংস্কার কমিশনগুলোর প্রস্তাবের বিষয়ে আলী রীয়াজ বলেন, যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে যে পুঞ্জীভূত সংকট মোকাবেলা করার চেষ্টা। শুধু সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বাস্তবায়ন যথেষ্ট নয়, সে জন্য দরকার দরকার একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের কাঠামো তৈরি করা, গণতন্ত্রের চর্চা করা, গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে একত্রিত থাকা।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় ফ্যাসিবাদী শাসককে পলায়নে বাধ্য করেছে। এ ঐক্য বজায় রেখে, ঐক্যের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের অগ্রসর হতে হবে। এটা শুধু আমাদের অঙ্গীকার নয়, এটা আমাদের দায়।
আলী রীয়াজ বলেন, যারা প্রাণ দিয়েছেন, লড়াই করেছেন, গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত-নিহত হয়েছেন, তারও আগে গত ১৬ বছর ধরে সমস্ত রকম জুলুম নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন, গত ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক, জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্র, সকলের অংশগ্রহণমূলক রাষ্ট্র, নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করার মত রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছেন, তাদের সবার কাছে আমাদের দায়।
সংস্কারের বিষয়ে সংলাপকে আলোচনার অগ্রগতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সামান্য হলেও অগ্রগতি অর্জন করতে পেরেছি। সেটা ধরে রাখতে না পারলে, বিকশত করতে না পারলে সমস্ত সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যাবে। সেটা না হয়, সেজন্য সবার প্রচেষ্টা। আমরা একত্রিতভাবে অর্জনের চেষ্টা করছি। যে অর্জন শুধু আমাদের জন্য নয়, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি নতুন গণতান্ত্রিক জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র তৈরি করার জন্য।
সবাই একমত হয়ে দ্রুততার সঙ্গে জাতীয় সনদ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
প্রতিষ্ঠার লগ্ন থেকে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের সংগ্রামে যুক্ত ছিল গণসংহতি আন্দোলন উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, তারা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, অংশগ্রহণ করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, ড. বদিউল আলম মজুমদার ও ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এএইচ
আরও পড়ুন