ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

প্রকাশিত : ১৯:০০, ১৫ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৯:০৬, ১৫ এপ্রিল ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজী থানায় মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির আনা যৌন হয়রানির অভিযোগ ভিডিওতে ধারণ এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলা করা হয়। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং নথি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান।

বাদী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক তার জবানবন্দিতে বলেন, নুসরাত হত্যাকাণ্ড বর্তমান সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন ওই মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। একই অভিযোগে গত ২৭ মার্চ নুসরাতের মা ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই সিরাজ উদ্দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর নুসরাতকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতকে জেরা করাসহ তা ভিডিওতে ধারণ করেন।

পরে ওই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যা সারাবিশ্বের মানুষ দেখেছে। যদি নুসরাত বেঁচে থাকতেন, তাহলে এরকম ঘটনার পর তার বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যেতো। থানার একজন ওসির রুমে একজন ভিকটিমকে এভাবে জেরা করা ও ভিডিও ধারণ করে সম্প্রচার করা ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনে অপরাধ। এরপর বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনা ও আদেশের জন্য রাখেন।

প্রসঙ্গত, নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিলেন তিনি। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।

গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এ সময় তাকে কৌশলে একটি ভবনের ছাদে ডেকে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দিয়ে আগুন দেওয়া হয়। গুরুতর দগ্ধ নুসরাত পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হার মানেন। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মারা যান।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি