ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪

ওস্তাদ আজিজুল ইসলামের একক বাঁশি সন্ধ্যা

প্রকাশিত : ২২:৪৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৯

ওস্তাদ আজিজুল ইসলাম যিনি ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম নামেও পরিচিত। পেশাগত জীবনে নাবিক, ভারতীয় ধ্রুপদী সঙ্গীতের একনিষ্ঠ অনুরাগী। কর্মজীবনের পাশাপাশি শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শ্রবণ ও চর্চা অব্যাহত রাখেন। সঙ্গীতে প্রথাগত শিক্ষা নয়। সত্য ও সুন্দরের খোঁজে ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম ক্রমে ক্রমে হয়ে ওঠেন এক আত্মপ্রত্যয়ী সুরস্রষ্টা। তার শিল্পীজীবন উৎসর্গীকৃত হয়েছে শিল্পের উৎকর্ষ লাভের আকাঙ্খায়। তার বাঁশির সুর মন্ত্রমুগ্ধের মতো টানে মানুষকে।

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ও একুশে পদকপ্রাপ্ত এই গুণী শিল্পীকে নিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে জাতীয় নাট্যশালার মিলনায়তনে ২৯ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টায় একক বাঁশি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে হামীর, চন্দ্রকোষ, মিশ্র খামবাজ ধূন, দরবারী কানাড়া এবং ঝিনঝটি ও ভাটিয়ালি রাগ পরিবেশন করেন।

নিভৃতচারী এই শিল্পী ১৯৪৫ সালে রাজবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর স্মৃতিধন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। শৈশব থেকে তিনি চট্টগ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। আইএসসি পাস করে মেরিন একাডেমির প্রথম ব্যাচে যোগদানের মাধ্যমে সামুদ্রিক জীবনে প্রবেশ তার। ভাটিয়ালি গানের প্রতি ছিল বিশেষ ঝোঁক। ভাটিয়ালি গানের বাঁশির সুর তাকে বেশি টানত। একনিষ্ঠ পরিশ্রমই তাকে পৌঁছে দিয়েছে স্বপ্নের বন্দরে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে চট্টগ্রামের আর্য সঙ্গীত সমিতির প্রয়াত প্রিয়দা রঞ্জন সেনগুপ্তের কাছে হাতে খড়ি হয় আজিজুল ইসলামের। সাগরের বুকে নিঃসঙ্গ প্রহরগুলো কাটাতেন বাঁশি বাজানোর রেওয়াজ করে।

সে সময় স্বর্গীয় পান্নালাল ঘোষের বাজানো রেকর্ড এবং অন্যান্য বিখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পীদের রেকর্ডগুলো ছিল তার নিত্যসঙ্গী। পরে ওস্তাদ বেলায়েত আলী খানের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে বিশ্ব বিখ্যাত সরদবাদক ওস্তাদ বাহাদুর খানের শিষ্যত্ব নেন। পরে স্বর্গীয় পন্ডিত পান্নালাল ঘোষের ঘনিষ্ঠ শিষ্য পন্ডিত দেবেন্দ্র মুদ্রেশ্বর ও পন্ডিত ভি.জি. কার্নাডের কাছে তালিম নেন।


এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি