ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৩ মে ২০২৫

ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে একবেলা খেতে লাগবে ২৭ কোটি টাকার বেশি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১১, ২ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৪৪, ২ জুন ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

আপনি কি মার্কিন ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে বা লাঞ্চ করতে চান? হ্যাঁ কোনো সমস্যা নেই, আপিনি খেতে পারবেন। এজন্য আপনাকে গুণতে হবে ৩৩ লাখ ১০০ মার্কিন ডলার বা প্রায় ২৭ কোটি ৮৯ লাখ ৩৩ হাজার ১৯৭ টাকার বেশি। কারণ এ বছর ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে দুপুরের খাবার খাওয়ার দাম উঠেছে নিলামে এটুকুই। সান ফ্রান্সিসকোর একটি দাতব্য সংস্থা ‘গ্লিড’-এর সহায়তায় নিলামের আয়োজন করা হয়।

গত শুক্রবার ওই দাতব্য সংস্থার নিলামে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ৩৩ লাখ মার্কিন ডলারে কিনে নেন ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে একদিন দুপুরের খাবার খাওয়ার সুযোগ। এই নিলাম থেকে পাওয়া অর্থ গ্লিড ব্যয় করবে গৃহহীন ও দরিদ্র মানুষের কল্যাণে।

ওই ব্যক্তি নিউইয়র্কের স্মিথ অ্যান্ড উলেনস্কাই নামের খাবার দোকানে ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে দুপুরের খাবার খেতে পারবেন। এ সময় তিনি আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন নিজের অন্তত সাত বন্ধুকেও।

২০০০ সাল থেকে এই দাতব্য সংস্থাটির সঙ্গে কাজ করছেন ওয়ারেন বাফেট। তবে মোট তিনবার নিলামে তার সঙ্গে দুপুরের খাবার খাওয়ার মূল্য উঠেছে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৭ কোটি টাকার বেশি। এর আগে ২০১২ ও ২০১৬ সালে এর মূল্য উঠেছিল ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার। ই-বের ব্যবস্থাপনায় ২০০০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এই নিলাম থেকে দাতব্য কাজের ব্যয়ের জন্য অর্থ এসেছে ২৯০ লাখ মার্কিন ডলার।

সফল বিনিয়োগকারী হিসেবে পরিচিত ওয়ারেন বাফেট জনহিতৈষী কাজের জন্য পরিচিত। যিনি তার সম্পদের ৯৯ ভাগই জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে এই দাতব্য অর্থ সংগ্রহ কাজে ওয়ারেন বাফেটের যুক্ত হওয়ার কারণ হলো, অন্য ধনকুবেররাও যেন তার মতো দাতব্য কাজে এগিয়ে আসেন। এতে দরিদ্র ও গৃহহীন মানুষের জন্য কিছু করা সম্ভব হবে ওই গ্লিডের পক্ষে।

নিলামের জন্য এই সুযোগটি গত রোববার খুলে দেওয়া হয়। বুধবার নাগাদ ৩০ লাখ মার্কিন ডলারে ওঠে মূল্য।

ওয়ারেন বাফেটের সঙ্গে দুপুরে খাবার খাওয়ার সুযোগ নিলামে ওঠানোর এই পরিকল্পনা এসেছে তার স্ত্রী সুশি বাফেটের মাথা থেকে। সুশি দাতব্য সংস্থা গ্লিডে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই গ্লিড দুস্থ ও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই তিনি গ্লিডের জন্য অর্থ সংগ্রহের এই নতুন উপায় বের করেন। যাতে সংস্থাটির মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের উপকার করা যায়।

তথ্যসূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।

এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি