ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪

কক্সবাজারে বৃদ্ধকে নির্যাতনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:২৮, ১০ জুন ২০২০

কক্সবাজারের চকোরিয়ার এক বৃদ্ধকে নির্যাতনের প্রধান অভিযুক্ত আসামি মোঃ আনছুর আলম (৪০) কে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।  

আজ বুধবার সকাল ১১টায় মহেশখালী থানার ষাইটমারা এলাকা থেকে আনছুর আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

পুলিশ সদর দফতর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলার এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি মো. আনছুর আলম।

জানা যায়, ওই বৃদ্ধকে নির্যাতনের ঘটনাটি নজরে আসা মাত্রই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমের পক্ষ থেকে মামলা নেওয়ার পাশাপাশি রাতভত অভিযান চালায় পুলিশ। সেই অভিযানে পুলিশ তিনজন আসামি গ্রেপ্তার করলেও প্রধান অভিযুক্ত মোঃ আনছুর আলম পালিয়ে যান। কিন্তু তাকে ধরতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত থাকে। 

পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালী থানার ষাইটমারা এলাকা থেকে আনছুর আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ মে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ায় নির্যাতনের শিকার হন নুরুল আলম (৭২)। ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আনছুর আলমের নেতৃত্বে একদল বখাটে যুবক ঘটনাটি ঘটায়।

এ ঘটনার পর ৩১ মে বৃদ্ধ নুরুল আলমের ছেলে আশরাফ হোসাইন চকরিয়া থানায় মামলা করেন। এতে ওই এলাকার মৃত মনির উল্লাহর ছেলে আনছুর আলম, বদিউল আলম, শাহ আলম, শাহ আলমের স্ত্রী আরেজ খাতুন, বদিউল আলমের ছেলে মিজানুর রহমান, আবদুল জাব্বারের ছেলে রিয়াজ উদ্দিন, জয়নাল আবেদিন এবং মনজুর আলমের ছেলে মো. রুবেলকে অভিযুক্ত করা হয়।

এজাহারে আশরাফ হোসাইন উল্লেখ করেন, ‘২৪ মে আমার বৃদ্ধ বাবা নুরুল আলম ঈদের বাজার করে ঢেমুশিয়া স্টেশন থেকে টমটমযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে যুবলীগ নেতা আনছুর আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী টমটম থেকে আমার বাবাকে নামিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে পরনের লুঙ্গি, গেঞ্জি ছিঁড়ে উলঙ্গ করে ফেলেন। পাশাপাশি তাকে মারধর ও গালিগালাজ করেন।’

‘গ্রামের কয়েকজন যুবক এ দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করেন। এ সময় আমার বাবা বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও কেউ রক্ষা করতে এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে আমার ছোট ভাই সিএনজিচালক সালাহউদ্দিন স্থানীয় লোকজনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাবাকে উদ্ধার করে। এরপর বাবাকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।’

আশরাফ হোসাইন এজাহারে আরও উল্লেখ করেন, ‘ঘটনার সময় আমার বাবার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ও পকেটে থাকা সাড়ে সাত হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।’

আশরাফ হোসাইন বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনার জেরে আমার বাবার ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছেন সন্ত্রাসী আনছুর আলম। স্থানীয় যুবলীগ নেতা হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। এমন কোনো অপকর্ম নেই যা সে করে না। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’

এমবি//


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি