ঢাকা, সোমবার   ০৭ জুলাই ২০২৫

করোনা ভয়াবহতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯০৮

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Ekushey Television Ltd.

অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। নতুন করে এ ভাইরাসে নুতন করে আরও ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৯০৮ জনের মৃত্যু হল। 

আজ সোমবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশনের বরাত দিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে। 

এর আগে রোববারই ২০০৩ সালের ভাইরাস সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমের (সার্স) প্রাদুর্ভাবে নিহতের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যায় করোনা। 

মরণ এ ব্যাধিতে শুধু হুবেই প্রদেশেরই ৩৫ হাজারের বেশি নাগরিক আক্রান্ত। এর মধ্যে গোটা চীনে ৪০ হাজার ১৭০ জন আর বেইজিংসহ বিশ্ব মিলে এ ভাইরাস ছড়িয়েছে ৪০ হাজার ৭১০ জনের বেশি মানবদেহে। 

করোনার উৎপত্তিস্থল হুবেই প্রদেশের উহানে এর আগে ২০০৩ সালে ভাইরাস সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমের (সার্স) প্রাদুর্ভাবে ৭৭৪ জন মারা গিয়েছিল। এবার সে রেকর্ডকেও ছাড়িয়ে যায় করোনা। 

ফলে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সময় যত ঘনিয়ে আসছে ভয়াবহ অবস্থার দিকে যাচ্ছে চীন। আক্রান্তদের অবস্থা অনেকেরই সংকটাপন্ন। এ যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হচ্ছে এশিয়ার এ সমৃদ্ধ দেশটি। শুধু যে মানুষের দেহে তা নয়, এর প্রভাব পড়েছে দেশটির অর্থনীতিতেও। কার্যত এখন অচল চীন। 

দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, রোববার পর্যন্ত নতুন করে ৯৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, যাদের সবাই হুবেই প্রদেশের। যা করোনায় নিহতের সংখ্যা একদিনে সর্বোচ্চ। গত ৩১ ডিসেম্বর এ প্রদেশের উহান শহরেই প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে। 

চীনে এই ভাইরাসে মৃতদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের একজন করে নাগরিক রয়েছে। এছাড়া ফিলিপাইন এবং হংকংয়ে একজন করে মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান ও ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখ করার মত। তাদের হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি কারো দেহে করোনার সন্ধান মিলেনি।  

ইতিমধ্যে বাংলাদেশসহ অনেক দেশই তাদের নাগরিকদের চীন ভ্রমণের ওপর অনেকটা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চীনও অন্য দেশকে আসা কোনো নাগরিককে আপাতত বেইজিংয়ে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা। ফলে, চীনে বসবাসরত অন্যান্য দেশের নাগরিকদের আপাতত নিজ দেশে ফেরা হচ্ছে না। 

এ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায়, বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, কানাডা, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, হংকং, ভারত, ইতালি, জাপান, ম্যাকাও, মালয়েশিয়া, নেপাল, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, শ্রীলঙ্কা, সুইডেন, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভিয়েতনামে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

এআই/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি