ঢাকা, শনিবার   ১৮ মে ২০২৪

করোনাতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৪ রাজ্য, মৃত ২১

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:১১, ৯ মার্চ ২০২০

চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে অন্যান্য দেশের ন্যায় কাঁপছে ট্রাম্পের দেশ যুক্তরাষ্ট্রও। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে নতুন করে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত ২২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। 

অপরদিকে, সময়ের সাথে দীর্ঘ হচ্ছে আক্রান্তের সারি। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত ট্রাম্পের দেশে প্রাণঘাতি ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫শ ছাড়িয়েছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে ওয়াশিংটন, ফ্লোরিডা ও দেশটির সর্ববৃহৎ শহর নিউইয়র্কে। 

বার্তা সংস্থা সিএনএন সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম করোনার সন্ধান মেলে ওয়াশিংটন রাজ্যে। এরপর একে একে ছড়িয়ে পড়ে অন্যান্য শহরে। এখন পর্যন্ত দেশটির ৩৪টি রাজ্যে করোনা সনাক্ত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এরমধ্যে সবেচেয়ে বেশি আক্রান্ত ওয়াশিংটন, ক্যালিফোর্নিয়া ও নিউইয়র্কে। 

এদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ট্রাম্প প্রশাসন। তারা সবধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। 

পাশাপাশি করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় বিভিন্ন স্থানে কনসার্ট ও কনফারেন্স বাতিল করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীদের বাসায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে অনলাইনে ক্লাস নেয়া হবে বলেও জানানো হয়। 

অন্যদিকে, মার্কিন নাগরিক বিশেষ করে যেসব ভ্রমণকারী ইতোমধ্যেই কোনো ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন তাদের প্রমোদতরীতে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র দফতর। এ বিষয়ে একটি ভ্রমণ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

সেন্টার্স ফর ডিজেজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তথ্য অনুযায়ী, প্রমোদতরীতে ভ্রমণকারীদের করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ছে। এমন তথ্য প্রকাশের পরই মার্কিন নাগরিকদের প্রমোদতরীতে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

এদিকে চীন থেকে বিশ্বের অন্তত ১০৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে দেড় লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬২ হাজারের বেশি মানুষ। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি। 

এসবের মধ্যে চীনেই প্রাণহানি ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ১১৯ জন মারা গেছেন। আর চীনের বাহিরে বিশ্বজুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৯৭ জন। 

চীনের বাহিরে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা ইতালিতে। ইউরোপের দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ৩৬৬ মারা গেছেন। ৭ হাজার ৩৪২ জন, যেখানে দেশটির সেনাপ্রধান সালভেতর ফারিনাও রয়েছেন। একইসঙ্গে দেশটির ১১টি শহরের প্রায় দেড় কোটি মানুষকে নেয়া হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে। 

এরপরই রয়েছে আর ইসলামী প্রজাতন্ত্রের দেশ ইরান। এখন পর্যন্ত দুই সংসদ সদস্য ও এক রাষ্ট্রদূতসহ দেশটির ১৯৪ জন নাগরিক মরণ এ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। বর্তমানে সেখানে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

পিছিয়ে নেই দক্ষিণ কোরিয়াও। এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৫১ জন মারা গেছেন। আক্রান্তের দিক থেকে চীনের বাহিরে সবচেয়ে বেশি। দেশটির ৭ হাজারের বেশি মানুষ ভাইরাসটিতে ভুগছেন। 

এআই/


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি