ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কানাডার ১৫০তম বার্ষিকী উদযাপন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৭, ২ জুলাই ২০১৭

ছবি: কানাডার টরেন্টো শহরে দেশটির ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে আতশবাজি ঝলকানি।

ছবি: কানাডার টরেন্টো শহরে দেশটির ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে আতশবাজি ঝলকানি।

এককালের ব্রিটিশ উপনিবেশ কানাডা তার জন্মের ১৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। দিনটি উপলক্ষে স্থানীয় সময় শনিবার আনন্দে মেতে উঠে কানাডার দশটি প্রদেশ এবং তিনটি টেরিটোরিসহ গোটা দেশ। সবচেয়ে বড় জনসমাগম হয় অটোয়ার পার্লামেন্ট হিলের আশপাশে। খবর বিবিসির।

হাজার হাজার বছর ধরে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আবাস হয়ে ওঠা কানাডা একসময় ফরাসি সাম্রাজ্যের উপনিবেশ ছিল । পরে তা চলে যায় ব্রিটিশ উপনিবেশের অধীনে। বেশকিছু রক্তাক্ত যুদ্ধের দু:স্মৃতি অতিক্রম করে ১৮৬৭ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্তি পায় কানাডা। ১৮৬৮ সালে কানাডা কনফেডারেশনভুক্ত হয়। কানাডা নামে এই কনফেডারেশনটির যাত্রা শুরু হয় ১ জুলাই। এজন্যই দিনটিকে কানাডা ডে অর্থাৎ কানাডার জন্মদিন হিসেবে পালন করা শুরু হয়।

১৫০তম জন্ম বার্ষিকীতে উৎসবে মাতোয়ারা হয় কয়েক কোটি কানাডিয়ান। দেশের শহর-গ্রাম-প্রশাসনিক অঞ্চল সবখানে উদযাপনের রং। রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে শুরু করে প্রতি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত হয় নানান ধারার অনুষ্ঠান। আকর্ষণীয় আতশবাজি, মনোমুগ্ধকর শোভাযাত্রা, চোখ ঝলসানো প্যারেড, আনন্দের নাচ-গান, কেক কাটা, সৌহার্দ্যের বারবিউকিউ পার্টির ব্যাপক আয়োজন।


বার্ষিকীর সবচেয়ে বড় আয়োজনটি ওটোয়ায়। সেখানকার পার্লামেন্ট হিলের জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আশা ছিল, লাখো মানুষের সমাগম হবে সেখানে। তবে বাধ সাধে বৃষ্টি। তারপরও দূরদূরান্ত থেকে এসেছেন অনেকেই আয়োজনে সামিল হতে।


কানাডা ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হলেও ব্রিটেনের সঙ্গে ভিন্ন বন্ধন রয়েছে। রাষ্ট্রের প্রতিকী প্রধান হচ্ছেন- ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ। তার অনুকূলে প্রতিনিধিত্ব করেন নির্বাচিত গভর্নর জেনারেল। অবশ্য রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে রানির কোন নির্বাহী ক্ষমতা নেই।

কানাডার জন্মকে ১৫০ বছরের ইতিহাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দেখতে চান না কেউ কেউ। জন্মবার্ষিকীতে তারা নেমেছিলেন প্রতিবাদি উদযাপনে। তাদের বক্তব্য: হাজার হাজার বছর ধরে কানাডাকে আজকের জায়গায় এনেছে সেখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠী। তাই ১৫০ বছরের মধ্যে দেশটির জন্মসীমা নির্ধারিত হলে, তা খণ্ডিত ইতিহাস হয়। হয় অর্ধসত্য। জন্মবার্ষিকীর দিনটিকে তারা চান একটি সংলাপের দিন হিসেবে উদযাপন করতে। বহু সংস্কৃতির উদারভূমিকে করে তুলতে চান, আরও মানবিক আর দায়িত্বশীল।
//এআর

 


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি