ঢাকা, বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫

কে এই শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৪, ৪ অক্টোবর ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৫৮, ৪ অক্টোবর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

দীর্ঘ ১৩ বছর পলাতক থাকার পর ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তালিকাভুক্ত জিসান আহমেদকে গ্রেফতার করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পুলিশ। এখন তাকে দুবাই থেকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

জিসানের নাম বরাবরই ইন্টারপোলের রেড অ্যালার্টের তালিকায় ছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত এক দশকে দেশের শীর্ষ ২৩ সন্ত্রাসীর নাম তালিকাভুক্ত করেছে। তাদের অন্যতম হলেন জিসান। সম্প্রতি তার বিষয়ে আরও জোরালোভাবে খোঁজখবর শুরু হয়। এরপরেই দুবাইয়ের পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

তার পুরো নাম জিসান আহমেদ মন্টি। রাজধানীর আলোচিত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জি কে শামীমের সঙ্গে মিলে অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রণ করতেন জিসান। এই ত্রয়ীর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল আরেক ক্যাসিনো গডফাদার ইসমাইল হোসেন সম্রাটের।

জানা যায়, রাজধানীবাসীর এক সময়কার আতঙ্কের নাম ছিলেন এই জিসান। তার নাম শুনলে আঁতকে উঠতেন অনেকে। গুলশান, বনানী, পল্টন, মগবাজার-মালিবাগ, ফকিরাপুল, মতিঝিল এলাকায় দাবিয়ে বেড়াতেন তিনি। অভিজাত এসব এলাকার ব্যবসা ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়মিত চাঁদা তুলতেন তিনি। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ক্যাসিনো ব্যবসা, মাদক ব্যবসা সবই করতেন জিসান।

শুধু তাই নয়, একসময় ঢাকায় এলাকাভিত্তিক সন্ত্রাসী বাহিনীও গড়ে উঠেছিল তার। যাদের নাম শুনলে ভয়ে তটস্ত থাকত সবাই। দিনে-দুপুরে তারা চাঁদা চেয়ে চিরকুট পাঠাত। সঙ্গে পাঠাতো কাফনের কাপড়। অনেকেই নীরবে দাবিকৃত সেই চাঁদা দিয়ে দিত। না দিলে জীবন দিতে হতো।

২০০৩ সালে মালিবাগের একটি হোটেল দুইজন ডিবি পুলিশ সদস্যকে হত্যার ঘটনায় জিসান আহমেদের নাম আসে। এরপরে সে দেশ ত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যায় বলে ধারণা করা হয়।

সূত্র জানায়, সেসময় পালিয়ে ভারতে প্রবেশ করে জিসান। এরপর নিজের নাম পরিবর্তন করে আলী আকবর চৌধুরী নামে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে।

সাম্প্রতিক দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে দুই যুবলীগ নেতা জিকে শামীম ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের পর জিসানের নাম নতুন করে আলোচনায় আসে। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলেও জানা গেছে।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি