ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ০১ মে ২০২৫

কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চাইলেন রাম রহিম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৪, ২৮ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ২১:৪৬, ২৮ আগস্ট ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

দুই নারী সেবিকাকে (সাধ্বী) ধর্ষণের দায়ে ভারতের হরিয়ানার কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং-এর সাজা ঘোষণার আগে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তখন তার মুখে একটাই বুলি ছিলো, ‘মুঝে মাফ করদো! মুঝে মাফ করদো!’

মাঝে কয়েক বার অস্ফুট স্বরে যদিও বলতে শোনা গিয়েছে, আইনের প্রতি তার অগাধ ‘আস্থা’। আদালতের রায় ‘মাথা পেতে’ই নেবেন। তাঁকে ‘ফাঁসানো’ হয়েছে। কিন্তু, কান্না থামেনি। এমনকী, ১০ বছরের সাজা ঘোষণার পরেও আদালত কক্ষ থেকে নাকি বেরতে চাননি তিনি। ধর্ষণের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রাম রহিম গুরমীত সিংহকে প্রায় জোর করেই মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

কিন্তু, সাজা ঘোষণার আগেই কেন এতখানি ভেঙে পড়লেন ডেরা সচ্চা সৌদা প্রধান?

গত শুক্রবার জোড়া ধর্ষণ মামলায় রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সিবিআই-এর একটা অংশের ধারণা, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেও রাম রহিমের আশা ছিল প্রভাবশালী হিসাবে তিনি ছাড়া পেয়ে যাবেন। সোমবার রোহতক জেলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে তাঁর আইনজীবীরা যে ভাবে সওয়াল করেন, তাতেও কিছুটা ভরসা পেয়েছিলেন রাম রহিম। তাঁর আইনজীবীরা এ দিন আদালতের কাছে আর্জিতে জানান, রাম রহিম এক জন সমাজসেবী, সমাজে পরিচিত মুখ। তাঁর যথেষ্ট বয়সও (৫০) হয়েছে। কাজেই, তাঁর ক্ষেত্রে আদালত যেন নরম মনোভাব দেখায়!

কিন্তু সিবিআই-এর আইনজীবীরা পাল্টা আর্জি জানান, রাম রহিমের মতো এক জন ধর্ষকের যাবজ্জীবন সাজাই পাওয়া উচিত। তাঁরা বিচারক জদগীশ সিংহের কাছে রাম রহিমের সর্বোচ্চ সাজার দাবি জানান।

এই সময়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রাম রহিম। হাত জোড় করে আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তাঁকে মাফ করে দেওয়ার আর্জিও জানাতে থাকেন। কিন্তু, মিনিট পনেরো পর বিচারক যে রায় শোনালেন তাতে কান্না থামেনি রাম রহিমের। বরং তা বেড়েই গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন আদালতের ভিতরে হাজির থাকা এক সূত্র। এতটাই ভেঙে পড়েন যে, আদালত কক্ষ থেকে যখন প্রায় সকলেই বেরিয়ে গিয়েছেন, তখন রাম রহিমকে কার্যত টেনে হিঁচড়ে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।

অথচ, এই রাম রহিম কত নারীর চোখের জলের কারণ হয়ে উঠেছিলেন! সোমবার রায় ঘোষণার পর সে কথাই বলেছেন ‘পুরা সচ্‌’-এর খুন হয়ে যাওয়া সম্পাদক রামচন্দ্র ছত্রপতীর ছেলে অংশুল। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা যখন বলতাম, রাম রহিম সিংহ খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত, কেউ আমাদের কথা বিশ্বাস করত না। আদালত আজ সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে।’’

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি